আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৯২ রানের টার্গেট তাড়ায় ৯১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যাওয়ার উপক্রম হয় অস্ট্রেলিয়ার। দলের এমন চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে হাল ধরেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ধংসস্তূপে দাঁড়িয়ে অনবদ্য ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।
অষ্টম উইকেটে অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের সঙ্গে শতরানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যাচ্ছেন ম্যাক্সওয়েল।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৩৮ ওভারের খেলা শেষে ৭ উইকেটে ২১৬ রান। ১২৬ ও ১১ রানে ব্যাট করছেন ম্যাক্সওয়েল ও প্যাট কামিন্স। জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ৭২ বলে ৭৬ রান।
বিশ্বকাপের চলমান ১৩তম আসরের ৩৯তম ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ইব্রাহিম জাদরানের সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ২৯১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে আফগানিস্তান।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে দলীয় ৪ রানে নাভিন উল হকের শিকার হয়ে ফেরেন ট্রাভিস হেড। এরপর মিচেল মার্শের সঙ্গে ২৬ বলে ৩৯ রানের জুটি গড়েন ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। এক উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ছিল ৪৩ রান। এরপর ৪৮ রানের ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়া হারায় ৬ উইকেট। ২৪, ১৮, ০ ১৪, ও ৫ রানে আউট হন মিচেল মার্শ, ডেভিড ওয়ার্নার, জশ ইনজেলস, মার্নাস লাবুশেন, মার্কাস স্টয়নিস ও মিচেল স্টার্ক।
দলের এমন চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে হাল ধরেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
মঙ্গলবার ভারতের মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড় স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে আফগানরা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮ ওভারে দলীয় ৩৮ রানে ফেরেন ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ (২১)।
ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানের সঙ্গে ১০০ বলে ৮৩ রানের জুটি গড়ে রহমত শাহ। দলীয় ১২১ রানে ৪৪ বলে এক বাউন্ডারিতে ৩০ রান করে ফেরেন রহমত শাহ।
চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানের সঙ্গে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি। তৃতীয় উইকেটে তারা ৭৬ বলে ৫৩ রান করেন। ৪৩ বলে দুই বাউন্ডারিতে ২৬ রান করে ফেরেন হাশমতউল্লাহ।
এরপর আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তিনি ১৮ বলে দুই চার আর এক ছক্কায় ২২ রান করেন। ১০ বলে মাত্র ১২ রান করে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি।
ইনিংসের শেষ দিকে রীতিমতো তাণ্ডব চালান ইব্রাহিম জাদরান ও সাবেক অধিনায়ক রশিদ খান। ষষ্ঠ উইকেটে তারা মাত্র ২৮ বলে ৫৮* রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। তাদের এই জুটিতেই তিনশোর দোরগোড়ায় গিয়ে পৌঁছায় আফগানিস্তান।
ইনিংস ওপেন করতে নেমে শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করেন ইব্রাহিম জাদরান। তিনি ১৪৩ বল খেলে দলীয় সর্বোচ্চ ১২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন।মাত্র ১৮ বলে ৩৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন রশিদ খান।