ক্রিকেটের নিয়মে একজন ব্যাটসম্যানকে ১১ ভাবে আউট করা যায়। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসে ‘টাইমড আউট’ গতকালই প্রথম দেখেছে বিশ্ব।
আউটটি আইনসিদ্ধ হলেও এর আগে কখনো কোনো ব্যাটসম্যানকে এভাবে আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়নি। সুযোগ পেয়ে কাল সেটা কাজে লাগাতে পিছপা হননি বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
মাঠে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে এসে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খেলার জন্য প্রস্তুত না হওয়ায় আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় শ্রীলংকার ব্যাটসম্যান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে।
প্রথমে সাকিব যখন আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলছিলেন, প্রথমে মনে হয়েছিল এটা তার মস্তিষ্কপ্রসূত। কিন্তু ম্যাচ শেষে তিনি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, তাকে আবেদন করতে উৎসাহিত করেছিলেন দলের এক ফিল্ডার।
সাকিব সংবাদ সম্মেলনে বলছেন, আমাদের এক ফিল্ডার আমার কাছে এসে বলল, আপনি যদি আবেদন করেন, নিয়ম অনুযায়ী সে আউট। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সে গার্ড নিতে পারেনি। তখন আমি আম্পায়ারের কাছে আবেদন করি।
কোন খেলোয়াড় আপনাকে আবেদন করার বুদ্ধি দিয়েছিলেন—এই প্রশ্নে সাকিব বলেন, ‘নাম বলা যাবে না।’ তবে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সাকিবকে পরামর্শটা দিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, যিনি দলের সহ-অধিনায়ক।
ম্যাথুসের ‘টাইমড আউট’ ঘিরে মাঠে যেমন উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, মাঠের বাইরেও তৈরি হয় বিতর্ক। এমনকি কাল শ্রীলংকার ইনিংস শেষে চতুর্থ আম্পায়ার আদ্রিয়ান হোল্ডস্টকরে ব্যাখ্যা দিলেও পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম, মিসবাহ উল হক, শোয়েব মালিক, আজহার আলী এটাকে ক্রিকেটীয় চেতনার পরিপন্থী মনে করছেন। তবে মঈন খান সাকিবের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।