Logo
Logo
×

খেলা

আবারো স্থগিত সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৩, ১০:০১ পিএম

আবারো স্থগিত সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ

এবার আর মারামারি কিংবা হাতাহাতির মতো কোনো ঘটনায় নয়, দুই দলে নিয়মবহির্ভূত দুজন খেলোয়াড়ের অন্তর্ভুক্তির কারণে মঙ্গলবার বন্ধ হয়েছে সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ (সিসিএল)। কবে আবার এই খেলা হবে, সেই বিষয়ে আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত কিছুই জানা যায়নি।

বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে উৎসাহ দেওয়ার উদ্দেশ্য থেকেই মূলত তারকা ও কলাকুশলীদের নিয়ে আয়োজিত হয় সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ (সিসিএল)। মারামারি ও হাতাহাতির ঘটনার জেরে ১৮ দিন পর মাঠে গড়ায় সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ; কিন্তু মঙ্গলবার সকালে শুরু হওয়া সেই খেলা আবার রাতেই বন্ধ হয়ে যায়।  

জানা গেছে, ১৮ দিন পর মাঠে গড়ানো সিসিএলের সব খেলা একদিনের মধ্যে শেষ করার উদ্যোগ নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ; কিন্তু শেষপর্যন্ত তা আর হয়নি। সেমিফাইনাল জিতে ফাইনালে উঠেছিল পরিচালক সালাহউদ্দিন লাভলু ও নির্মাতা দীপঙ্কর দীপনের দল; কিন্তু ফাইনালের আগেই আবারো বন্ধ হয়ে গেল তারকাদের নিয়ে আয়োজিত সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ।

সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগের নিয়মানুযায়ী করপোরেট লিগ খেলেছেন- এমন কেউ খেলতে পারবে না এই লিগ। সালাহউদ্দিন লাভলুর দলের হয়ে রাব্বী এবং দীপঙ্কর দীপনের দলের হয়ে অন্তু নামের দুই অভিনেতা মাঠে নামেন। যারা এর আগে করপোরেট লিগ খেলেছিলেন। বিপক্ষ দল তা মেনে না নেওয়ায় খেলা মধ্যরাতে বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়।

মাঠে সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ আয়োজক কমিটির মাসুদুর রহমানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগে থেকেই বলা ছিল, যারা করপোরেট লিগে খেলেছে, তারা এই লিগে খেলতে পারবে না। এখানে কেউ ২০১৪ সালে, আবার কেউ ২০১৬ সালে করপোরেট লিগ খেলেছে। আমরা সেটা জানতাম না। ঝামেলা দেখা দেয় সেমিফাইনালের আগে। কে কত সালে কোথায় খেলেছে, সেসব নথি হাজির করেছে দলগুলো। দুই দলের অভিযোগের কারণে খেলা বন্ধ রয়েছে। আমরা আয়োজক হিসেবে চেষ্টা করেছি শেষপর্যন্ত খেলানোর কিন্তু আপাতত সেটা হচ্ছে না। এর মধ্যে আমাদের কিছু ব্যর্থতা আছে। আমরা সেটা মেনে নিচ্ছি। পরে কোনো এক সময় ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার মাঠে আসেনি রায়হান রাফির নেতৃত্বাধীন দলের কেউ। তবে একাধিক সূত্র, বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর খেলা চলাকালীন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচ খেলোয়াড়সহ অজ্ঞাতনামা একজনকে গতকালকের খেলায় অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। 

যাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- চিত্রনায়ক শরীফুল রাজ, পরিচালক নঈম ইমতিয়াজ নিয়ামূল, মোহন আহমেদ, অভিনেত্রী রাজ রীপা এবং সোহাগ রানা ও একজন অজ্ঞাতনামা। অবশ্য অভিনেত্রী রাজ রীপা দাবি করেছেন, তিনি আগেই এই আয়োজনকে বয়কট করেছেন। তিনি বলেন, যেখানে আমি বয়কট করেছি, সেখানে আমাকে অব্যাহত রাখার প্রশ্নই আসে না!

প্রসঙ্গত, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে গ্রুপপর্বের ম্যাচে নির্মাতা মোস্তফা কামাল রাজ ও দীপঙ্কর দীপনের দলের খেলা চলাকালে মাঠে থাকা দুই দলের সতীর্থদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার খেলা শুরু হয়। ম্যাচ শেষে আবার উত্তেজিত হয়ে পড়ে দুই দলের খেলোয়াড়েরা, যা একটা পর্যায়ে মারামারিতে রূপ নেয়। 

হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনার পরদিন ৩০ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে সিসিএল লিগ স্থগিতের ঘোষণা দেয় আয়োজক প্রতিষ্ঠান।

সিসিএলে মোট আটটি দলে লড়েন বিনোদন অঙ্গনের তারকা ও কলাকুশলীরা। এসব দলের নেতৃত্বে দেখা গেছে- গিয়াস উদ্দিন সেলিম, সালাহউদ্দিন লাভলু, শিহাব শাহীন, চয়নিকা চৌধুরী, দীপঙ্কর দীপন, সকাল আহমেদ, মোস্তফা কামাল রাজ ও রায়হান রাফিকে।
আবারো স্থগিত সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ

এবার আর মারামারি কিংবা হাতাহাতির মতো কোনো ঘটনায় নয়, দুই দলে নিয়মবহির্ভূত দুজন খেলোয়াড়ের অন্তর্ভুক্তির কারণে মঙ্গলবার বন্ধ হয়েছে সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ (সিসিএল)। কবে আবার এই খেলা হবে, সেই বিষয়ে আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত কিছুই জানা যায়নি।

বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে উৎসাহ দেওয়ার উদ্দেশ্য থেকেই মূলত তারকা ও কলাকুশলীদের নিয়ে আয়োজিত হয় সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ (সিসিএল)। মারামারি ও হাতাহাতির ঘটনার জেরে ১৮ দিন পর মাঠে গড়ায় সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ; কিন্তু মঙ্গলবার সকালে শুরু হওয়া সেই খেলা আবার রাতেই বন্ধ হয়ে যায়।  

জানা গেছে, ১৮ দিন পর মাঠে গড়ানো সিসিএলের সব খেলা একদিনের মধ্যে শেষ করার উদ্যোগ নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ; কিন্তু শেষপর্যন্ত তা আর হয়নি। সেমিফাইনাল জিতে ফাইনালে উঠেছিল পরিচালক সালাহউদ্দিন লাভলু ও নির্মাতা দীপঙ্কর দীপনের দল; কিন্তু ফাইনালের আগেই আবারো বন্ধ হয়ে গেল তারকাদের নিয়ে আয়োজিত সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ।

সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগের নিয়মানুযায়ী করপোরেট লিগ খেলেছেন- এমন কেউ খেলতে পারবে না এই লিগ। সালাহউদ্দিন লাভলুর দলের হয়ে রাব্বী এবং দীপঙ্কর দীপনের দলের হয়ে অন্তু নামের দুই অভিনেতা মাঠে নামেন। যারা এর আগে করপোরেট লিগ খেলেছিলেন। বিপক্ষ দল তা মেনে না নেওয়ায় খেলা মধ্যরাতে বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়।

মাঠে সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ আয়োজক কমিটির মাসুদুর রহমানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগে থেকেই বলা ছিল, যারা করপোরেট লিগে খেলেছে, তারা এই লিগে খেলতে পারবে না। এখানে কেউ ২০১৪ সালে, আবার কেউ ২০১৬ সালে করপোরেট লিগ খেলেছে। আমরা সেটা জানতাম না। ঝামেলা দেখা দেয় সেমিফাইনালের আগে। কে কত সালে কোথায় খেলেছে, সেসব নথি হাজির করেছে দলগুলো। দুই দলের অভিযোগের কারণে খেলা বন্ধ রয়েছে। আমরা আয়োজক হিসেবে চেষ্টা করেছি শেষপর্যন্ত খেলানোর কিন্তু আপাতত সেটা হচ্ছে না। এর মধ্যে আমাদের কিছু ব্যর্থতা আছে। আমরা সেটা মেনে নিচ্ছি। পরে কোনো এক সময় ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার মাঠে আসেনি রায়হান রাফির নেতৃত্বাধীন দলের কেউ। তবে একাধিক সূত্র, বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর খেলা চলাকালীন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচ খেলোয়াড়সহ অজ্ঞাতনামা একজনকে গতকালকের খেলায় অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। 

যাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- চিত্রনায়ক শরীফুল রাজ, পরিচালক নঈম ইমতিয়াজ নিয়ামূল, মোহন আহমেদ, অভিনেত্রী রাজ রীপা এবং সোহাগ রানা ও একজন অজ্ঞাতনামা। অবশ্য অভিনেত্রী রাজ রীপা দাবি করেছেন, তিনি আগেই এই আয়োজনকে বয়কট করেছেন। তিনি বলেন, যেখানে আমি বয়কট করেছি, সেখানে আমাকে অব্যাহত রাখার প্রশ্নই আসে না!

প্রসঙ্গত, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে গ্রুপপর্বের ম্যাচে নির্মাতা মোস্তফা কামাল রাজ ও দীপঙ্কর দীপনের দলের খেলা চলাকালে মাঠে থাকা দুই দলের সতীর্থদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার খেলা শুরু হয়। ম্যাচ শেষে আবার উত্তেজিত হয়ে পড়ে দুই দলের খেলোয়াড়েরা, যা একটা পর্যায়ে মারামারিতে রূপ নেয়। 

হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনার পরদিন ৩০ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে সিসিএল লিগ স্থগিতের ঘোষণা দেয় আয়োজক প্রতিষ্ঠান।

সিসিএলে মোট আটটি দলে লড়েন বিনোদন অঙ্গনের তারকা ও কলাকুশলীরা। এসব দলের নেতৃত্বে দেখা গেছে- গিয়াস উদ্দিন সেলিম, সালাহউদ্দিন লাভলু, শিহাব শাহীন, চয়নিকা চৌধুরী, দীপঙ্কর দীপন, সকাল আহমেদ, মোস্তফা কামাল রাজ ও রায়হান রাফিকে।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম