সাঈদ আনোয়ার ও আমির সোহেল জুটির পর আর কোনো টেকসই উদ্বোধনী ব্যাটার যুগল পায়নি পাকিস্তান। বহু পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়েছে।
ইমাম-উল হক ও ফখর জামানকে নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছিলেন পাকিস্তানের সমর্থকরা। কিন্তু এই জুটিও টিকল কই। মূলত ফখরের ফর্মের ধারাবাহিকতা না থাকায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছেন।
পাকিস্তান খেলা যারা দেখেন তারা একবাক্যে মেনে নেন যে, ফখরের টেলেন্ট নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। বড় ইনিংস খেলার সক্ষমতা তার রয়েছে। বেশ কয়েকটি বড় ইনিংস খেলে তিনি সক্ষমতার প্রমাণও দিয়েছেন। তার টেকনিকও নিখুঁত। কিন্তু ফর্মের ধারা রক্ষা করতে পারেন না।
এসব কারণে তাকে বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে দলে রাখার পক্ষে ছিলেন না নির্বাচকদের কেউ কেউ। শেষ দিকে তাকে দলে রাখা হয়। এর আগে এশিয়া কাপেও ধারাবাহিক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।
ভারতের বিপক্ষে ফখরের লম্বা ইনিংস খেলার রেকর্ড রয়েছে। তাই আজকের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে তাকে স্কোয়াডে দেখার অপেক্ষায় তার সমর্থকরা।
গত ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে রেকর্ড জয় পায় পাকিস্তান। ৩৪৫ রানের পাহাড় ডিঙিয়ে জয় ভেদ করে আনে ম্যা ইন গ্রিনরা।
ওই ম্যাচে ফখর ছিলেন দলের বাইরে। তার পরিবর্তে আবদুল্লাহ শফিককে দিয়ে ম্যাচ ওপেন করানো হয়। শফিক সুযোগটা ভালোমতোই কাজে লাগিয়েছেন। ১০৩ বলে ১১৩ রান করে জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
এ কারণে আজকের ম্যাচেও ফখরের কপাল পুড়তে পারে। ইনফর্ম শফিককে বাদ দিতে চাইবেন না ইনজামাম-বাবররা।
অন্যদিকে ইমাম-উল হকও ছন্দে নেই। গত ম্যাচে তিনি মাত্র ১২ রান করেন। সে কারণে ইমাম যদি বাদ পড়েন তবে ফখর সুযোগ পাবেন। তবে পাকিস্তান ক্রিকেট টিম সম্ভবত উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে চাইবে না।
বিশ্ব আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় দিয়ে বিশ্ব আসর শুরু করে বাবর বাহিনী।
গত ম্যাচে শ্রীলংকাকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে রয়েছে বাবর বাহিনী।
টপঅর্ডারের ফর্মহীনতা পাকিস্তানকে ভোগাচ্ছে। অধিনায়ক বাবর আজম রানে নেই। পাকিস্তানের ক্রিকেট দলের পরিচালক মিকি আর্থার অবশ্য এ নিয়ে চিন্তিত নন।
পাকিস্তানের সম্ভাব্য একাদশ
ইমাম-উল-হক, আব্দুল্লাহ শফিক, বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটকিপার), সৌদ শাকিল, ইফতিখার আহমেদ, শাদাব খান, মোহাম্মাদ নওয়াজ, হাসান আলি, হারিস রউফ ও শাহিন শাহ আফ্রিদি।