বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছে টাইগাররা। চেন্নাইতে শুক্রবার বাংলাদেশের দেওয়া ২৪৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করছে কিউইরা।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই আঘাত হেনেছেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন রাচিন রাবিন্দ্র।
১৫ ওভারে নিউজিল্যান্ডের রান ১ উইকেটে ৬৮। ৪৬ বলে ৩৪ রানে খেলছেন ডেভন কনওয়ে। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে তার একটি কঠিন ক্যাচ হাতছাড়া করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
এর আগে ৯ উইকেটে টাইগাররা ২৪৫ রান করে। কিউইদের বিপক্ষে সম্মানজনক পুঁজি পায় সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে চড়ে।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ট্রেন্ট বোল্টের বলে ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। আগের ম্যাচে হাফসেঞ্চুরির পর এবার গোল্ডেন ডাকে (১ বলে ০) সাজঘরে টাইগার ওপেনার।
তরুণ তানজিদ হাসান তামিমও বড় মঞ্চে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারছেন না। আজ সেট হয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি। লুকি ফার্গুসনের বলে স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তামিম (১৭ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ১৬)।
মেহেদী হাসান মিরাজ তিন নম্বরে নেমে রানের গতি সচল করেছিলেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ৩০ রানে তিনিও ভুল করে বসেন। ফার্গুসনকে পুল করতে গিয়ে ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই অলরাউন্ডার। ৪৬ বলের ইনিংসে তিনি হাঁকান ৪টি বাউন্ডারি।
এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হয়েছেন সহজ এক বলে। গ্লেন ফিলিপস নিজেও হয়তো আশা করেননি এমন বলে উইকেট পেয়ে যাবেন। আলতো করে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরের পথে হাঁটেন শান্ত (৮ বলে ৭)।
ক্র্যাম্পের জন্য দৌড়াতে সমস্যা হওয়ায় বড় শট খেলে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টায় ছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে সেই চেষ্টায় খুব একটা সফল হননি তিনি। কিপার টম ল্যাথামের গ্লাভসে বল তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
সাকিবের আউটে ভাঙে ৯৬ রানের জুটি। এরপর মেট হেনরির বলে বোল্ড হন মুশফিকুর রহিম। দুজনকে হারিয়ে চাপে পড়ে টাইগাররা। ৫১ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৪০ রান করেছেন সাকিব। আর ৭৫ বল খেলে মুশফিক করেছেন ৬৬ রান। তার ইনিংসটি ছিল ৬ চার আর ২ ছক্কায় সাজানো।
এরপর তাওহিদ হৃদয়ও সাজঘরে ফিরেন ২৫ বলে ১৩ রান করে। ট্রেন্ট বোল্টের বলে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে শর্ট এক্সট্রা কভারে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
অষ্টম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর তাসকিন আহমেদ মিলে ৪৩ বলে যোগ করেন ৩৪ রান। ১৯ বলে ২ ছক্কায় তাসকিন ১৭ করে আউট হলে ভাঙে এই জুটি।
তবে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ বাকি সময় বলতে গেলে একাই টেনে নিয়ে গেছেন দলকে। ৪৯ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।