টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ঝড়ো সেঞ্চুরি উপহার দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার কুইন্টন ডি কক। আগের ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে সেঞ্চুরি ছিল ৮৩ বলে, এবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করলেন ৯০ বলে।
ডি ককের সেঞ্চুরিতে ভর করে বড় সংগ্রহের পথে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪২ ওভার শেষে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৬৩ রান।
বাভুমাকে নিয়ে শুরু থেকেই দারুণ সূচনা করেন কুক। ১০৮ রানে এই জুটিতে ভাঙন ধরান ম্যাক্সওয়েল।
বাভুমা ৩৫ রানে আউট হওয়ার পর ডাসেনকে নিয়ে আরও ৫০ রানের জুটি গড়েন কুক। এই জুটি যখন সাবলীল খেলে যাচ্ছিল তখন আঘাত হানের জাম্পা। ২৯ তম ওভারে ডুসেন ফিরেন ২৬ রান করে।
নতুন ব্যাটার হিসেবে মাঠে এসেছেন মার্করাম।
গত দুই বিশ্বকাপে ১৭ ম্যাচ খেলেও কোনো সেঞ্চুরি করতে পারেননি তিনি। এবার শুরুর দুই ম্যাচেই সেঞ্চুরি করলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
লখনৌর অটল বিহারী বাজপেয়ি স্টেডিয়ামে সাধারণত রানখরা থাকে সব সময়। সর্বোচ্চ স্কোর এখানে ২৩৫। কিন্তু আফ্রিকার ব্যাটাররা যেভাবে ব্যাট করছে তাতে বড় স্কোর হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছিল শ্রীলংকার বিপক্ষে। তবে অস্ট্রেলিয়া হেরে গিয়েছিল ভারতের কাছে। সে ক্ষেত্রে আজ অস্ট্রেলিয়ার জয়ে ফেরার মিশন। আর দক্ষিণ আফ্রিকার মিশন ধারাবাহিকতা ধরে রাখার।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ
ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ, স্টিভ স্মিথ, মার্নাস লাবুশেন, জস ইংলিশ (উইকেটরক্ষক), মার্নাস স্টইনিজ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), মিচেল মার্শ, অ্যাডাম জাম্পা, জস হ্যাজলউড।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ
কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), টেম্বা বাভুমা (উইকেটরক্ষক), রাসি ফন ডার ডুসেন, এইডেন মারর্কাম, হেনরিক ক্লাসেন, ডেভিড মিলার, মার্কো জানসেন, কাগিসো রাবাদা, কেশভ মাহারাজ, লুঙ্গি এনগিদি, তাবরিজ শামসি।