মাহমুদউল্লাহর পরিবর্তে নেমে ৩২ বলে ১৪ রানে ফেরেন মেহেদি
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৩৭ পিএম
বিশ্বকাপে বিতর্ক এড়াতেই হয়তো নেওয়া হয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। কারণ বিশ্বকাপের আগের মাসে হওয়া এশিয়া কাপেও রাখা হয়নি রিয়াদকে। এশিয়া কাপে তাকে না রাখায় অনেক সমালোচনা হয়।
সেই সমালোচনা এড়াতেই হয়তো বিশ্বকাপে রাখা হয় মাহমুদউল্লাহকে। গুঞ্জন রয়েছে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান চাননি বলেই বিশ্বকাপ দলে রাখা হয়নি দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালকে। শুধু তাই নয়, সাকিব চাননি বলেই বিশ্বকাপের ম্যানেজার হিসেবে রাখা হয়নি নাফিস ইকবালকে।
তামিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বিশ্বকাপ দলে না রাখলে সমালোচনা তুলনামূলক বেশি হতো, সেই কারণে হয়তো রিয়াদকে বিশ্বকাপে নেওয়া। কিন্তু দলে যেহেতু তাকে নেওয়াই হলো তাহলে কেন এক ম্যাচে ভালো করে না দেখেই ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সঙ্গে তাকে রাখা হলো না। উত্তরটা হয়তো সাকিব-হাথুরু ভালো বলতে পারবেন।
কিন্তু মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পরিবর্তে আজ ইংল্যান্ড ম্যাচে যাকে রাখা হলো তার অতীত পারফরম্যান্স সত্যিই কি রিয়াদের চেয়ে বেটার? নাকি তিনি রিয়াদের চেয়ে ব্যাটে-বলে বেশি কার্যকরী।
মাঠের পারফরম্যান্স যদি দেখি- বিশ্বকাপে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ খেলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে আফগানদের ১৫৬ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে ৯২ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের দাপুটে জয় পায়। সেই ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে দিয়ে মাত্র ১ ওভার বোলিং করান অধিনায়ক সাকিব। এক ওভারে ৭ রান খরচ করেন তিনি।
সেই ম্যাচে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল মাত্র ১৫৭ রান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ব্যাটিংয়ে নামার আগেই দলের জয় নিশ্চিত হয়। যে কারণে ব্যাটিংয়ে তার নামা হয়নি।
সাধারণত দল জিতলে পরের ম্যাচে উইনিং কম্বিনেশন ভাঙ্গা হয় না; কিন্তু বাংলাদেশ দল আফগান ম্যাচে জয়ের পরও আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রাখা হয়নি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো অভিজ্ঞ তারকাকে। তার পরিবর্তে দলে রাখা হয় শেখ মেহেদিকে।
তরুণ এই ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পরিবর্তে খেলতে নেমে শুরু থেকেই নার্ভাস ছিলেন। তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখে তাই মনে হয়েছে! ইংলিশ বোলারদের সামনে কাঁপাকাঁপি করতে করতে শেষ পর্যন্ত ৩২ বলে এক চারে মাত্র ১৪ রান করে ফেরেন মেহেদি। অবশ্য ব্যাটিংয়ে নেমেই তার সাজঘরে ফেরার কথা ছিল; ভাগ্যিস ক্যাচ তুলে দিয়ে লাইফ পান। এমন আনকোরা একজন ব্যাটসম্যানকে খেলানো হলো মাহুমদউল্লাহ রিয়াদের পরিবর্তে।
এখানে টিম ম্যানেজমেন্টের কী পরিকল্পনা ছিল তা হয়তো সাকিব-হাথুরুই ভালো বলতে পারবেন। কিন্তু ইংল্যান্ডের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে আপনি যদি অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের ড্রেসিংরুমে বসিয়ে রাখেন তাহলে তাদের কেন বিশ্বকাপে নেওয়া হলো? লোক দেখানোর জন্য, নাকি সমালোচনা এড়ানোর জন্য!