‘দারুণ শুরু!’ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয় নিয়ে এ মন্তব্য মাশরাফি বিন মুর্তজার। বল হাতে মাত্র ২৫ রানে ৩ উইকেট, এরপর ব্যাট হাতে ওয়ান ডাউনে নেমে ৫৭ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস। এর মূল অবদান মেহেদী হাসান মিরাজের।
মেহেদী হাসান মিরাজ যেন সব্যসাচী! দুই হাতে খেলেন। যখন দলের প্রয়োজন, যেখানে প্রয়োজন, সেখানেই হাজির। যাকে বাংলাদেশ দলের বড় সম্পদ বলছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
ম্যাচ শেষে মাশরাফি তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন- মিরাজ বর্তমানে এই দলের সবচেয়ে বড় সম্পদ। দল তাকে যেভাবে চাচ্ছে, সেভাবেই সে নিজের সেরাটা ঢেলে দিচ্ছে। আবারো বলছি, বাংলাদেশের ফাস্ট বোলিং গ্রুপ এবার আমাদের স্বপ্নের ঘোড়া, তাদের ওপর নির্ভর করছে আমাদের বিশ্বকাপ ভবিষ্যৎ।
শেষপর্যন্ত দুশ্চিন্তা কেটে গেছে, মাশরাফির তাই রাজ্যের স্বস্তি। আর তাতে মূল কৃতিত্ব দিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে।
তিনি বলেন, জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না। আফগানরা শুরুটা করেছিল দুর্দান্ত; কিন্তু সাকিব বারবারই বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছেন। মাঝখানে মিরাজের আঁটসাঁট বোলিংয়ের সঙ্গে পেস বোলারদের কম্বিনেশনে একের পর এক উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ খেলা নিজেদের হাতেই রেখেছে। সাকিবের বোলিং রোটেশন থেকে শুরু করে ফিল্ড প্লেসিং, এসবের সঙ্গে নিজের বোলিং প্রমাণ করে সে কতটা প্রো-অ্যাক্টিভ। মাঠের ভেতরে চাপের সময়টাতেই নিজের সেরাটা সবসময় বের করে আনেন তিনি।
মাশরাফি নেতৃত্ব ছাড়ার পর দলটা এই প্রথম বিশ্বকাপে কোনো ম্যাচ খেলল। সেই ম্যাচে পারফরম্যান্স এতটাই দাপুটে ছিল যে, আফগানিস্তান উড়ে গেছে খড়কুটোর মতো!
দুই ওপেনার হতাশ করলেও আজ সমালোচনা শুনতে চান না নড়াইল এক্সপ্রেস। তিনি মনে করেন, ব্যাটিংয়ে ওপেনাররা রান করেনি ঠিক, তবে অ্যাপ্রোচ খারাপ ছিল না। এখনই তাদের নিয়ে খুব বেশি আলোচনা করাও ঠিক হবে না। সময় মতো যেদিন দরকার, ঠিক সেদিন জ্বলে উঠলেই চলবে। শান্ত যে এখন অনেক পরিণত ও দারুণ ফর্মে আছে, তার প্রমাণ আজকের ব্যাটিং। সময় নিয়ে ব্যাট করে খেলাটা নিজেদের করে নিয়েছে, যেটা আজকের দিনে বেশি প্রয়োজন ছিল।
আফগান বধ শেষে সামনে বাংলাদেশের ইংলিশ পরীক্ষা। ভেন্যু এই ধর্মশালাই, তবে প্রতিপক্ষ বড়। তবে মাশরাফি যেন সেই ২০০৭ সালের ভারত ম্যাচের আগের দিনের মতো দিলেন ছোট্ট এক হুঙ্কার।
ফেসবুক স্ট্যাটাসটার ইতি টেনেছেন এই বলে- ‘অভিনন্দন বাংলাদেশ! দেখা হবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড!’