রোহিত শর্মা ও বাবর আজম। ফাইল ছবি
র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থেকে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু করবে স্বাগতিক ভারত। এবারের আসরে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের দুই নম্বর দল হিসাবে খেলবে উপমহাদেশের আরেক পরাশক্তি পাকিস্তান।
বিশ্বকাপের আগে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের শীর্ষ দুইয়ে পরিবর্তন হয়নি কোনো। টিম র্যাংকিংয়ের ইতিহাস বলছে, এবার ভারত ও পাকিস্তানেরই বিশ্বকাপ জেতার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
আরও পড়ুন যেসব স্টেডিয়ামে হবে এবারের বিশ্বকাপ
আইসিসির বর্তমান রেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করে ম্যাচের ফলের ভিত্তিতে ১৯৮১ সাল থেকে যে কোনো দলের ওয়ানডে র্যাংকিং বের করা যায়। এর আগের যথেষ্ট তথ্য সংরক্ষিত না থাকায় ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ বিশ্বকাপে দলগুলোর কোনো র্যাংকিং ছিল না।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে র্যাংকিং চালু হয় ১৯৮৩ আসর থেকে। সেই থেকে গত ১০ আসরে মাত্র একবার নকআউট পর্বে উঠতে পারেনি কোনো শীর্ষ দল, ১৯৯২ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া। ১০ আসরের সাতটিতেই ফাইনালে খেলেছে র্যাংকিংয়ের এক নম্বর দল।
ভারত ও পাকিস্তানের জন্য আশাবাদী হওয়ার কারণ হলো, ১৯৯৯ সাল থেকে শেষ ছয়টি ওয়ানডে বিশ্বকাপেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে র্যাংকিংয়ের শীর্ষ দুই দলের একটি। ইংল্যান্ডে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল র্যাংকিংয়ের দ্বিতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়া। পরে ২০০৩ ও ২০০৭ বিশ্বকাপ জেতে তারা র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থেকে।
ঘরের মাঠে ২০১১ বিশ্বকাপ জেতার সময় ভারত ছিল র্যাংকিংয়ের দুই নম্বরে। ২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপে র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থেকে চ্যাম্পিয়ন হয় যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড।
এছাড়া ১৯৯২ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল র্যাংকিংয়ের দুই নম্বরে থাকা পাকিস্তান। র্যাংকিংয়ে সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা দল হিসাবে বিশ্বকাপ জয়ের কীর্তি রয়েছে শ্রীলংকা।
১৯৯৬ বিশ্বকাপে তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল র্যাংকিংয়ের ছয় নম্বরে থেকে। র্যাংকিং চালু না হলেও প্রথম দুই বিশ্বকাপ (১৯৭৫ ও ১৯৭৯) জেতার সময় ওয়ানডে ক্রিকেটের সবচেয়ে দাপুটে দল ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বর্তমান নাম্বার ওয়ান ভারতের জন্য আরেকটি আশা জাগানিয়া তথ্য হলো, শেষ তিনটি বিশ্বকাপেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্বাগতিক দল।