চোটের কারণে এশিয়া কাপের মাঝ পথে ছিটকে যান নাসিম শাহ। একই কারণে ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলা হচ্ছে না ডানহাতি এই পেসারের। নাসিমের কাঁধের চোটের জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) মেডিকেল বিভাগের দায় দেখছেন মইন খান।
বল হাতে দারুণ ছন্দে ছিলেন নাসিম। এশিয়া কাপের আগে থেকেই ব্যাটারদের ভোগাচ্ছিলেন তরুণ এই পেসার। এশিয়া কাপেও ব্যাটারদের মাঝে ত্রাস সৃষ্টি করেছেন তিনি। বিশ্বকাপে ব্যাটারদের কতটা ভোগাবেন সবাই যখন এমন আলোচনায় ব্যস্ত তখন চোটে পড়েন নাসিম।
কাঁধের চোটে পড়ে সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ দিকে মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি। এরপর খেলতে পারেননি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে। যাদের বিপক্ষে হেরে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলা হয়নি পাকিস্তানের। চোটে পড়ার পর থেকেই গুঞ্জন ছিল বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন না নাসিম।
এবার ছিটকে গেছেন আরও বেশি সময়ের জন্য। বিশ্বকাপের পাশাপাশি ঘরের মাঠে সিরিজও মিস করতে হতে পারে তার। কয়েক মাসের জন্য মাঠের বাইরে চলে যাওয়া নাসিমের চোটের দায় পাকিস্তানের মেডিকেল বিভাগের উপর দিচ্ছেন মইন। তিনি মনে করেন, নাসিম বারবার অস্বস্তির কথা বলার পরও তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়নি।
এ প্রসঙ্গে মইন বলেন, নাসিমের ইনজুরি পাকিস্তানের মেডিকেল প্যানেল এবং ফিজিওথেরাপিস্টের একটি বিপর্যয়। কারণ সে নিয়মিত অভিযোগ করে আসছিল সে সমস্যায় ভুগছিল, তিন বা চার মাস বাকি থাকার পরও তাকে নিয়মিত খেলিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, একজন খেলোয়াড় সবসময় চান সে যেন বাদ না পড়েন কিন্তু যখন সে তার চোট নিয়ে বলছিল তখন তাদের উচিত ছিল এটা গুরুত্ব সহকারে নেওয়া। মেডিকেল প্যানেল এটা গুরুত্ব সহকারে নেয়নি। এটি সেই বিপর্যয়েরই ফল।
নাসিম না থাকায় পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়েছেন হাসান আলী। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাকিস্তানের জয়ে বড় অবদান রাখা এই পেসারকে দলে নেওয়ায় অবশ্য খুশি মইন। পাকিস্তানের সাবেক এই ক্রিকেটার মনে করেন, হাসানকে নেওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, আমরা হাসান আলীকে কেন নিয়েছি? কারণ হাসান একজন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বোলার। সে নিজেও এমন কিছুর মধ্য দিয়ে গেছেন। ওই দিক থেকে যদি বিবেচনা করি তাহলে এ সিদ্ধান্তটা ঠিক আছে এবং হাসান আলীর নির্বাচনটা যথোপযুক্ত।