রিয়াদের সঙ্গে মুশফিকেরও বাদ পড়ার সম্ভাবনা ছিল
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:২৫ পিএম
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ যখন দল থেকে বাদ পড়েন, তখন একই পরিণতি বরণ করার সম্ভাবনা ছিল মুশফিকুর রহিমেরও। তবে তিনি এসিড টেস্টের ম্যাচটাতেই জ্বলে ওঠেন, এরপর থেকে নিয়মিতই ভালো করছেন।
টি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব আল হাসান স্বীকার করেছেন, ফর্মে থাকা ক্রিকেটারকে কখনোই বাদ দেওয়া হয় না।
তিনি বলেন, ‘আমি অনূর্ধ্ব-১৫ থেকে দেখছি। যে খেলোয়াড় ভালো করছে, দলের জন্য কন্ট্রিবিউট করছে, ওই খেলোয়াড়কে বাংলাদেশ কখনোই বাদ দেয়নি। সিম্পল একটা উদাহরণ দেই।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ভাই, উনি ছিলেন না। হঠাৎ করে বিশ্বকাপ দলে আসলেন। একটা সিরিজ খেললেন, হয়ত সেভাবে কন্ট্রিবিউট করতে পারেননি যতটা করা উচিৎ ছিল। আমি পারসোনালি মনে করি উনার আরও ভালো করার সামর্থ্য আছে, আরও ভালো করা উচিৎ ছিল। দুইটা ম্যাচেই ঐ সুযোগ ছিল, পারফেক্ট স্টেজ ছিল, আমার কাছে মনে হয়েছে করতে পারেনি। কিন্তু তার যে ডেডিকেশন, দলের প্রতি দায়বদ্ধতা, দলে খেলার ইচ্ছা ছিল সবকিছু সবাই দেখতে পেরেছে।'
রিয়াদকে বাদ দেওয়া কিংবা বিশ্বকাপ দলে ফেরানোয় সাকিবের কোনো ভূমিকা ছিল না। তবে এটুকু জানান, শুধু মাঠের ক্রিকেট দিয়েই বিচার করা হয় না ক্রিকেটারদের। তার ভাষায়, 'অনেক প্রসেসের ভেতর দিয়ে যেতে হয়, অনেক জিনিস চিন্তা করতে হয়, অনেক ফ্যাক্ট চিন্তা করতে হয়। শুধু মাঠের পারফরম্যান্স না। মাঠ, মাঠের বাইরে, ড্রেসিংরুম, টিম মিটিং, এটমস্ফিয়ার- অনেক কিছু চিন্তা করতে হয়।'
তিনি বলেন, 'এটা আমার কাছে সবচেয়ে হাসির বিষয়। যে খেলোয়াড় লাস্ট ২ সিরিজে ছিল না, আমি অধিনায়ক হওয়ায় তাকে নিয়ে আসতে হবে আর তাকে নেওয়া হয়নি দেখে সম্পূর্ণ দোষ আমার, আমি মানুষের সাইকোলজিটা বুঝি না। মানুষ কোন সেন্স থেকে এটা বলতে পারে?'
সাকিব বলেন, 'রিয়াদ ভাই ইংল্যান্ডের সঙ্গে ৩য় ওয়ানডে খেলে বাদ পড়ে। ওই সিরিজের শেষ ম্যাচের কথা আমার খুব ভালোভাবে মনে আছে। রিয়াদ ভাই এবং মুশফিক ভাই দুজনই ওই সিরিজের পর বাদ পড়ত। দুজনের লাস্ট ইনিংস ছিল। আমি অন্তত ড্রেসিংরুমে জানতাম। যে খারাপ করবে, বাদ পড়ে যাবে।’
‘ওই সময়ের আগপর্যন্ত মুশফিক ভাইর সময়টা ভালো যাচ্ছিল না। লাকিলি মুশফিক ভাই ৭০ রান করে। পরের সিরিজ থেকে উনি ছয়ে ব্যাটিং করে আর রান করা শুরু করে আলহামদুলিল্লাহ্। রিয়াদ ভাই ওই ইনিংসে ভালো করতে পারেনি। তারপর থেকে রিয়াদ ভাই বাদ পড়ে। তাই আয়ারল্যান্ডের দুই সিরিজে উনি ছিলেন না বা এরপরও দলে ছিলেন না। আবার আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে দুটা সিরিজই জিতেছি। যেকোনো দলই হোক যখন জিততে থাকবে তখন তো স্বাভাবিকভাবেই ওই দলই থাকে। স্বাভাবিকভাবেই রিয়াদ ভাই ছিল না। এতে আমি দোষও দেখি না গুণও না।’