তামিম ইকবালকে ছাড়াই ওয়ানডে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
তামিমকে বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ দেওয়ায় বিসিবির ওপর ক্ষোভ ঝাড়ছেন দেশের হাজারও ক্রিকেট ভক্ত। সামাজিকমাধ্যম বিসিবি বস থেকে শুরু করে নির্বাচক প্যানেলের সমালোচনা করছেন টাইগার সমর্থকরা।
বুধবার বিশ্বকাপের উদ্দেশে টাইগাররা দেশ ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন।
তামিম প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তামিমের সঙ্গে ড্রাফটের দিনই (বিপিএলের ড্রাফট হয়েছিল রোববার) কথা হয়েছিল। বলছিল যে ওর ইনজুরিটা আছে ব্যথা করছে ব্যাক পেইন আছে। আমাকে ম্যানেজ করেই খেলতে হবে যদি আমি খেলতে চাই। সেটা আমি পরিষ্কার করে দেবো বোর্ডে। জানিয়ে দেবো।
সুজন আরও বলেন, সে বলে গেল এইটুকুই যে আমার ব্যথা হচ্ছে। পেইনটা খুব বেশি। আমি বললাম, নেক্সট পরিচর্যাটা কী? ওর আরেকটা ইনজেকশনের চান্স থাকতে পারে হয়তো–বা।
এরপর মাহমুদ জানান, তামিম তাকে বলেছেন, ‘আমার আসলে এভাবেই যাবে। ভালো কিছু হবে না। আমার ব্যথা হয়। অনেক ব্যথা হয়।
তামিমের বাদ পড়া এবং তাকে নিয়ে এত আলোচনাকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন টিম ডিরেক্টর।
তিনি বলেন, কথা হবেই। কেউ বাদ পড়বে, কেউ ঢুকবে। এটা আমাদের সময় হয়েছে। সব সময়ই ছিল।
এদিকে সবাই যখন বলছেন তামিমকে ষড়যন্ত্র করে বাদ দিয়েছে বিসিবি, সেই সময় মুখ খুললেন মাশরাফি। জানালেন তাকে বাদ দেওয়া হয়নি, তামিম নিজেই নাকি বিশ্বকাপ দলে থাকতে চাননি। এ সম্পর্কে ভুল তথ্য যাতে না ছড়ায়, তামিমের জন্য ম্যাশ ততটুকু সম্মান প্রাপ্য মনে করছেন।
নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে ম্যাশ লেখেন, একটা তথ্য হয়তো সবাই ভুল দিচ্ছে। তামিমকে বাদ দিয়েছে, আসলে সত্য হলো— তামিম দলে থাকতে চায়নি। দলে না রাখা আর থাকতে না চাওয়ার ব্যবধানটা অনেক। আমার মনে হয় এতটুকু সম্মান তামিমের প্রাপ্য।