নারী ক্রিকেটারের মৃত্যুতে পরোক্ষ ভাবে যুক্ত থাকায় ভারতের সাবেক অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এক ক্রিকেটারকে ১০ বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত।
ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ বি দলের হয়ে খেলেছিলেন সেই ক্রিকেটার। দেরাদুনের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের অতিরিক্ত বিচারক পঙ্কজ তোমর এই সাজা শুনিয়েছেন। ১০ বছরের জেলের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয় সেই ক্রিকেটারকে।
দেরাদুনের অতিরিক্ত জেলা সরকারি আইনজীবী কিশোর সিংহ জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের ৯ ডিসেম্বর ১৭ বছরের এক কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়। এই ঘটনার পরে ১৫ ডিসেম্বর ওই কিশোরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন কিশোরীর বাবা-মা। প্রমাণ হিসাবে কিশোরীর সঙ্গে ওই ক্রিকেটারের হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন পুলিশের কাছে জমা দেন তারা।
কথোপকথন থেকে পরিষ্কার ছিল যে দীর্ঘদিন ধরে সেই কিশোরীকে হেনস্থা করছিলেন কিশোর। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৫ নং ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়। যদিও কয়েক মাস পরে জামিন পেয়ে যান সেই ক্রিকেটার।
তদন্তের সময় কিশোরীর ঘর থেকে অনেক সূত্র পায় পুলিশ। একটি ডায়েরি উদ্ধার হয়। সেখানে কিশোরী লিখেছিলেন যে তার এই সিদ্ধান্তের জন্য এক ছেলে দায়ী। কিন্তু কারও নাম করেননি তিনি। অভিযুক্ত কিশোরের এটিএম কার্ড সেই ঘরে পাওয়া যায়। দিল্লির হোটেলের কয়েকটি বিলও পায় পুলিশ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাঝেমধ্যেই কিশোরীকে নিয়ে সেই হোটেলে গিয়ে উঠতেন কিশোর।
পুলিশের কাছে প্রধান অস্ত্র ছিল দুই জনের মধ্যে কথোপকথন। ফলে কিশোর জামিন পেলেও মামলা চলছিল। অবশেষে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে শুনানি হয়। সেখানেই ক্রিকেটারকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।