ভালো শুরু পরও ব্যাটিং বিপর্য। ওপেনিং জুটিতে ৫৫ করা বাংলাদেশ, এরপর মাত্র ১৫ রানের ব্যবধানে হারায় ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দুই ওপেনার মেহেদি হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ নাঈম শেখের পর সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
মিরাজ ২৮ বলে চার বাউন্ডারিতে ২৯ করেন। ৪৬ বল মোকাবেলা করে এক চারে ২১ রানে ফেরেন আরেক ওপেনার নাঈম শেখ।
৫ রানের ব্যবধানে ২ ওপেনার বিদায় নেওয়ার পর দলের হাল ধরতে পারেননি অধিনায়ক সাকিব। তিনি ৭ বলে মাত্র ৩ রানে ফেরেন। সাকিবের বিদায়ে ১৫ রানের ব্যবধানে বাংলাদেশ হারায় ৩ উইকেট।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ১৬ ওভারের খেলা শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৬৩ রান। ১২ ও ২ রানে ব্যাট করছেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম।
এশিয়া কাপের ১৬তম আসরের ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে আজ শ্রীলংকাকে হারানো ছাড়া বিকল্প পথ নেই টাইগারদের।
শনিবার শ্রীলংকার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলংকা। এক উইকেটে ১০৮ রান করা দলটি এরপর মাত্র ৫৬ রানের ব্যবধানে হারায় ৪ উইকেট।
একটা পর্যায়ে ৫ উইকেটে শ্রীলংকার সংগ্রহ ছিল ১৬৪ রান। ষষ্ঠ উইকেটে অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে সঙ্গে নিয়ে ৫৭ বলে ৬০ রানের জুটি গড়েন সাদিরা সামারাবিক্রমা। এরপর ফের ব্যাটিং বিপর্যয়। শেষ দিকে শ্রীলংকা ৩৩ রানে হারায় ৫ উইকেট।
দলের এই ব্যাটিং বিপর্যয়ে লড়াই করে গেছেন সাদিরা সামারাবিক্রমা ও কুশাল মেন্ডিস। মেন্ডিস ৭৩ বলে ৫০ রান করে আউট হলেও সেঞ্চুরির জন্য লড়াই করে যান সামারাবিক্রমা।
শেষ ওভারে শতরানের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করতে সামারাবিক্রমার প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। শেষ ওভারে বল খেলার সুযোগ পেয়েছেন মাত্র ৪টি। তাসকিন আহমেদের করা তৃতীয় বলে চার আর চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ৭১ বলে ৯৩ রানে পৌঁছে যান তিনি।
শেষ দুই বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে সামারাবিক্রমার প্রয়োজন ছিল ৭ রান। পঞ্চম বলটি ডট আর শেষ বলে আউট হলে তার সেঞ্চুরির স্বপ্ন ভেস্তে যায়।
সেঞ্চুরি না পেলেও দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর উপহার দিতে ৭২ বলে ৮টি চার আর ২টি ছক্কার সাহায্যে ৯৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন সামারাবিক্রমা। এছাড়া ৬০ বলে ৪০ রান করেন পাথুম নিশানকা।
বাংলাদেশ দলের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ। ২ উইকেট নেন আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম।