এশিয়া কাপে এখনো পর্যন্ত দুইটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গ্রুপ পর্বে এখনো চার ম্যাচ বাকি। দুই দল এখনো মাঠেও নামেনি। তবে এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে সমীকরণের হিসেব নিকেশ । কারণ গ্রুপ পর্বে মাত্র দুইটি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে প্রতিটি দল।
গ্রুপ ‘বি’তে রয়েছে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা ও আফগানিস্তান। বৃহস্পতিবার ‘বি’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারায় শ্রীলংকা। এতে সুপার ফোরে এক পা দিয়ে রেখেছে এশিয়া কাপের সহযোগী আয়োজক দেশটি। আর হেরে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে টাইগাররা।
সুপার ফোরে জায়গা পেতে হলে বাংলাদেশকে মেলাতে হবে কঠিন সমীকরণ। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর লাহোরে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে সাকিববাহিনী। ওই ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য ‘ডু অর ডাই’। জিতলে সুযোগ থাকবে সুপার ফোরের। সে সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচের দিকে। হারলে সরাসরি ছিটকে পড়বে টুর্নামেন্ট থেকে।
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর লাহোরে মুখোমুখি হবে শ্রীলংকা-আফগানিস্তান। এই ম্যাচে যদি শ্রীলংকা আফগানিস্তানকে হারায় তাহলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে লংকারা সরাসরি চলে যাবে সুপার ফোরে। এতে বাংলাদেশ রানার্সআপ হয়ে শেষ চ্যারে কোয়ালিফাই করবে। কিন্তু শ্রীলংকা যদি আফগানদের কাছে হেরে যায় তখন তিন দলের একটি করে জয়ে হিসেব হবে রানরেটে।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপে লিটনকে পাচ্ছেন সাকিব!
রানরেট বিবেচনায় যে দুই দল এগিয়ে থাকবে তারাই খেলবে সুপার ফোর স্টেজে। তিন দলের সমান একটি করে জয় হলেও রেটিংয়ে পিছিয়ে থাকা দলকে বিদায় নিতে হবে টুর্নামেন্ট থেকে।
গ্রুপ ‘এ’র দলগুলোর মধ্যে শক্তি বিবেচনায় নেপাল থেকে যোজন যোজন এগিয়ে ভারত-পাকিস্তান। ইতোমধ্যে নেপালের বিপক্ষে বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছে স্বাগতিক পাকিস্তান। শনিবার মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান।
এই ম্যাচে ভারতের কাছে বাবর আজমরা হারলেও সুপার ফোর প্রায় নিশ্চিত তাদের। কারণ নেপালের বিপক্ষে ২৩৮ রানের বিশাল জয়ে রানরেটে অনেকটা এগিয়ে পাকিস্তান। আবার পাকিস্তান যদি ভারতকে হারায় এতে তারা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ চার নিশ্চিত করবে। সে ক্ষেত্রে ভারত-নেপালের ম্যাচে চোখ থাকবে ভারতীয় সমর্থকদের। তবে শক্তিমত্তায় ভারতকে হারানো নেপালের পক্ষে প্রায় অসম্ভব।