৫ অক্টোবর ভারতের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে শুরু হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। তার আগেই ভারতের চেন্নাই শহরে ১৫ দেশের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে পথশিশু ক্রিকেট বিশ্বকাপ।
বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার এ টুর্নামেন্টে অংশ নিতে যাচ্ছে। অংশগ্রহণকারী এসব শিশুদের নিয়ে বুধবার ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বাসভবনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সেখানে তামিম ইকবাল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার, ডানহাতি পেসার জাহানারা আলম ও বাঁ-হাতি পেসার ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা। এছাড়া ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক উপস্থিত ছিলেন।
এ অনুষ্ঠানে পথশিশুরা গান ও নাটকের মাধ্যমে নিজেদের পরিস্থিতি তুলে ধরেন। আর এসব পথশিশুদের নিয়ে কাজ করছে লোকাল এডুকেশন অ্যান্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন (লিডো)। অনুষ্ঠান শেষে সৌম্য-জাহানারাদের নিয়ে মজাদার ক্রিকেট ম্যাচেও মেতে ওঠেন ক্রিকেটাররা।
অনুষ্ঠানে এসব শিশুদের নিয়ে অনুপ্রেরণা জোগাতে তামিম নিজের বক্তব্যে বলেন, ‘সবাই স্বপ্ন দেখে। যারা রাজপ্রাসাদে থাকে তারাও দেখে, যারা পথে ঘুমায় তারাও। এই এক জায়গায় কেউ কাউকে বাধা সৃষ্টি করতে পারে না। তোমরাও স্বপ্ন দেখবে। স্বপ্ন তোমাদের সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘ব্রিটিশ হাইকমিশন সব সময়ই বাংলাদেশের পাশে ছিল। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের কঠিন পরিস্থিতিতে তারা বাংলাদেশের ক্রিকেটে সহায়তা করেছে।’
টুর্নামেন্ট শুরু হবে ২০ সেপ্টেম্বর। পথশিশুদের এই বিশ্বকাপে নারী পুরুষ মিলে একটি দল হয়ে খেলবে। এক দলে থাকবে আট ক্রিকেটার। সব মিলে ১২ জনের একটি বহর যাবে চেন্নাই। এই দলের কোচ আসাদ হোসেন।
বিশ্বকাপে লক্ষ্য নিয়ে স্বপ্না আক্তার সুমি বলেন, ‘নিজের দেশের হয়ে যেহেতু বাইরে যাচ্ছি তাই লক্ষ্য থাকবে দেশের সুনাম বয়ে আনা। একই সাথে পথশিশুদের জন্য যেন কিছু করতে পারি। কেউ যেন তাদের পথশিশু না বলতে পারে, তারা যেন সম্মান পায়।’
লিডোর প্রতিষ্ঠাতা ও কার্যকরি পরিচালক ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘৭০০ শিশু নিয়ে আমরা কাজ করছি। অন্য বিষয়ের মতো খেলাধুলার মাধ্যমেও তাদের বিকাশ করার চেষ্টা করি।’