ছবি: সংগৃহীত
দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে পারেননি সাকিব আল হাসান। নতুন করে অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর এশিয়া কাপের মত বড় আসর সাকিবের জন্য নিশ্চয়ই চ্যালেঞ্জিং। তিনি অধিনায়ক নতুন হলেও দলে যারা আছেন তারা তো তার বেশ চেনা। কে কেমন, আর কার কী যোগ্যতা তা তো তিনি ভালোই জানেন। অন্যদিকে এই আসর শেষ হতেই টাইগারদের সামনে ওয়ানডে বিশ্বকাপ।
বলা হচ্ছে— এখানে দেখা মিলবে ছায়া বিশ্বকাপ দলের। তবে অধিনায়ক জানিয়েছেন কেন এশিয়া কাপ তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ!
তিনি বলেন, এশিয়া কাপের দলগুলোর সঙ্গে লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে তারা একটি দল হিসেবে এগিয়ে যেতে চান। এখানে ভালো করার আত্মবিশ্বাস কাজে লাগাতে চান বিশ্ব আসরে। সাকিব বলেন, ‘এটা (এশিয়া কাপ) দিয়ে আসলে ওটা (বিশ্বকাপ) বোঝার কোনো কারণ আছে বলে মনে হয় না।
দুটা পুরো ভিন্ন টুর্নামেন্ট। হ্যাঁ, যদি এখানে আমরা ভালো করতে পারি, তা হলে আমাদের সেই আত্মবিশ্বাস দেবে যে, এশিয়ার ভেতরে ভালো একটা দল হিসেবে গড়ে উঠতে পারি, দেন ওয়ার্ল্ড কাপেও আমাদের ভালো করার একটা সম্ভাবনা থাকবে।
সেই দিক থেকে এটা ইম্পর্ট্যান্ট। এর মানে এই না যে, এখানে খারাপ করলে সব আশা শেষ হয়ে যাবে। এটাতে ভালো করলেও যে আশা আরও বেড়ে যাবে সেটিও না।’
অধিনায়ককে ছাড়াই দল দারুণ প্রস্তুস্তি নিয়েছে বলেই মনে করেন সাকিব। তবে পেসার ইবাদত হোসেনকে না পাওয়া বড় দুর্ভাগ্য মনে করেন তিনি।
এ নিয়ে সাকিব বলেন, কোচ যেটা বলল খুব ভালো প্রস্তুতি হয়েছে। আমিও যতটুকু জেনেছি খুব ভালো প্রস্তুতি হয়েছে। দুর্ভাগ্য যে ইবাদত আমাদের দলের অংশ হতে পারছে না। ও আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। সে জায়গা থেকে সেট ব্যাক। তার পরও বলব, যে ধরনের প্রস্তুতি ও স্কোয়াড আছে আমরা অনেকদূর যেতে পারব।
বাট প্রথম বিষয় হলো— আমাদের প্রথম দুইটা ম্যাচ খেলতে হবে। কোয়ালিফাই করতে হবে। এবং আমরা একটা একটা ম্যাচ করে আগাতে চাই। শুধু তাই নয়, এই আসরে নিজের লক্ষ্যও জানিয়ে দিয়েছেন স্পষ্ট করে।
তিনি বলেন, ‘এখন পুরোটাই এশিয়া কাপকেন্দ্রিক আমাদের প্ল্যান প্রিপারেশন সবকিছুই। এটা যখন শেষ হবে ওয়ার্ল্ড কাপের সময় আসবে তখন আমরা এটা নিয়ে চিন্তা করব। অ্যাট দিজ মোমেন্ট শুধু এশিয়া কাপ। আরও শর্ট করে যদি বলতে চাই— এখন শুধু আফগানিস্তান ও শ্রীলংকা আমাদের মাথায়।’
এদিকে শরিফুল ইসলাম, তাওহীদ হৃদয়, শামীম পাটোয়ারী, তানজিদ হাসান তামিম, তানজিম হাসান সাকিবদের হাত ধরে বাংলাদেশ দেখেছে প্রথম বিশ্বকাপের শিরোপা। ভারতকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতা এই তরুণরা আছেন সাকিবের এশিয়া কাপ দলে।