আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন শতাধিক রানের টার্গেট তাড়ায় লড়াই করে জয় পেল পাকিস্তান ক্রিকেট দল।
শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে এক বল হাতে রেখে এক উইকেটের জয় পায় পাকিস্তান। এই জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডেতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করে বাবর আজমরা।
বৃহস্পতিবার শ্রীলংকার হাম্বানটোটার মাহিন্দ্র রাজাপাকশে স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে আফগানিস্তান। এদিন ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজের রেকর্ড সেঞ্চুরিতে ভর করে ৫ উইকেটে ৩০০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে আফগানিস্তান।
দলের হয়ে ১৫১ বলে ১৪টি চার আর ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১৫১ রানের রেকর্ড গড়েন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ১০১ বলে ৬টি চার আর দুটি ছক্কার সাহায্যে ৮০ রান করেন আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান। ওপেনিংয়ে তারা ২২৭ রানের দায়িত্বশীল জুটি গড়েন।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে এক উইকেটে ১৭০ রান করে জয়ের পথেই ছিল পাকিস্তান। এরপর মাত্র ৪১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় পাকিস্তান।
৫৩ রান করে ফেরেন অধিনায়ক বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান ফেরেন মাত্র ২ রানে। আগা সালমান ১৪, উসামা মির ফেরেন ০ রানে। ওপেনার ইমামুল হক ফেরেন সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে। তিনি আউট হন ১০৫ বলে চার বাউন্ডারিতে ৯১ রান করে।
দলের এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ে ইনিংসের শেষ দিকে হাল ধরেন শাদাব খান ও ইফতেখার আহমেদ। সপ্তম উইকেটে তারা ৪৭ রানের জুটি গড়েন। তাদের এই জুটি দলকে জয়ের পথে নিয়ে যায়। ১৭ এবং ৪ রান করে ফেরেন ইফতেখার আহমেদ ও শাহিন আফ্রিদি।
শেষ ১২ বলে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ২৭ রান। ৪৯তম ওভারে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বলে ডাবল রান করে নেন শাদাব খান। পঞ্চম বলে চার আর শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ওই ওভারে ১৬ রান আদায় করে নেন এই অলরাউন্ডার।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১১ রান। হাতে ছিল এক উইকেট। শেষ ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকালেও রান আউট হয়ে ফেরেন শাদাব খান। তার আগে ৩৫ বলে তিন চার আর এক ছক্কায় ৪৮ রান করে ফেরেন তিনি।
ফজলহক ফারুকির করা ওই ওভারের দ্বিতীয় বলে রান নিতে পারেননি পাকিস্তানের পেসার নাসিম শাহ। তৃতীয় বলে সিঙ্গেল রান নিয়ে প্রান্ত বদল করেন তিনি। চতুর্থ বলে তিন রান আদায় করে নেন হারিস রউফ। পঞ্চম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। দলের শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে শেষ দিকে ৩৫ বলে ৪৮ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নেন শাদাব খান।