তবে কী সড়কের শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছেন মাহমুদউল্লাহ? তিনি কি এখন বিকালে ভোরের ফুল? বেলাশেষের মৃদু আলোয় ঘরে ফেরা ক্লান্ত পথিক? এশিয়া কাপের দলেও ব্রাত্য ৩৭ এর মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে এরকম প্রশ্নের পর প্রশ্ন তোলাই যায়। উত্তর বোধহয় পাওয়া যাবে না। এশিয়া কাপের দলটাই হয়তো বিশ্বকাপে খেলবে, এমন জোরালো সম্ভাবনা মাহমুদউল্লাহর সামনে শেষ দরজাও দড়াম করে বন্ধ করে দিয়েছে।
লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর টি ২০ দলে নিজের জায়গা ও নেতৃত্ব দুই-ই হারিয়ে তিনি কি দেখতে পেয়েছিলেন একটি সুন্দর গল্পের সমাপ্তি? এ বছর মার্চে আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওডিআই সিরিজেও দলছুট থাকায় ধরেই নেওয়া হয়েছিল, মধুরেণ সমাপয়েৎ বুঝি আর হচ্ছে না। তবে কি মাহমুদউল্লাহর শেষটা দেখে ফেলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট?
খালেদ মাহমুদ অন্তত তা মনে করেন না, ‘আমি এখনই বলব না যে, ওর শেষটা দেখছি। এখনো মাহমুদউল্লাহ একজন লড়াকু ক্রিকেটার। দলের সমন্বয় বা অন্য যে কোনো কারণেই সে বাদ পড়ুক না কেন, টিম ম্যানেজমেন্ট, নির্বাচকরা যদি না নেয়, তাতে তার ভেঙে পড়ার কিছু নেই। এটা ঠিক যে, ওর বয়স হচ্ছে। তবে আমি এখনো বিশ্বাস করি, সে যেভাবে লড়াই করে, চেষ্টা করে, তাতে শেষ হয়ে গেছে, এখনই বলাটা ঠিক হবে না। সুযোগ আবারও আসতে পারে।’
বিসিবির এই পরিচালকের বিশ্বাস, ‘আমার মনে হয়, সে খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতা ধরে রাখবে। নিজের সঙ্গে লড়াই করবে। নিজের সঙ্গে লড়াই করাটাই সবচেয়ে বড় লড়াই। আমি মনে করি, লড়াই করার পর ওর সেই সুযোগটা সে পাবে।’