সাকিব অধিনায়ক কড়া হেডমাস্টার কোচ, তামিমের কি বিশ্বকাপে সুযোগ হবে?
আল-মামুন
প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৩, ০৫:৫৩ পিএম
সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল দুইজন ভালো বন্ধু, দেশের ক্রিকেটপাড়ায় দীর্ঘদিন ধরেই এমন সুখ্যাতিই ছিল; কিন্তু তাদের সেই সুসম্পর্কে ফাটল ধরেছে। বন্ধু থেকে দুজনে হয়ে গেছেন শত্রু।
একটি সূত্রে জানা যায়, তামিম ইকবালের বড় ভাই জাতীয় দলের সাবেক তারকা ওপেনার নাফিস ইকবাল; তিনি জাতীয় দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পাওয়া এবং দীর্ঘদিন ধরে বিসিবির পরিচালকের দায়িত্বপালন করে যাচ্ছেন তামিমের চাচা আকরাম খান। ক্রিকেট বোর্ডে তামিম পরিবারের এমন কর্তৃত্বের ইগো সমস্যা থেকেই সাকিবের সঙ্গে তামিমের দূরত্ব তৈরি হয়।
সাকিব-তামিমের এই দূরত্বের কারণেই নাকি জাতীয় দলে গ্রুপিং হয়। এমন অভিযোগ করেছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি দেশের একটি জনপ্রিয় ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইটকে বিসিবি সভাপতি বলেছিলেন, ‘আমি আপনাকে বলতে পারি, এটা কোনো স্বাস্থ্যকর ড্রেসিংরুম নয়। এই ব্যাপারটা (সাকিব ও তামিমের মধ্যে সম্পর্ক) এমন নয় যে আমি সমাধানের চেষ্টা করিনি। আমি তাদের দুজনের সঙ্গে কথা বলেছি এবং বুঝেছি তাদের যে সমস্যাগুলো আছে, তা নিষ্পত্তি করা সম্ভব নয়। এটা আমার পর্যবেক্ষণ।’
তামিম ইকবাল এতদিন ওয়ানডে দলের অধিনায়ক ছিলেন। অধিনায়ক হিসেবে তিনি ছিলেন দলের অটোমেটিক চয়েজ; কিন্তু জাতীয় দলের কড়া হেডমাস্টার হিসেবে খ্যাত প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে অভিমানে গত ৩ আগস্ট নেতৃত্ব ছেড়ে দেন তামিম।
৩০ আগস্ট পাকিস্তানে শুরু হতে যাওয়া এশিয়া কাপ এবং ৫ অক্টোবর ভারতে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তামিমের পরিবর্তে অধিনায়ক করা হয়েছে সাকিব আল হাসানকে।
দল নির্বাচনে নির্বাচকদের পাশাপাশি সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন অধিনায়ক ও কোচ। অধিনায়ক সাকিব এবং কোচ হাথুরুর সঙ্গে তামিমের বসচার কারণে বিশ্বকাপে দেশ সেরা ওপেনারের সুযোগ পাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তাছাড়া আরও একটি বড় কারণ হলো গত বছরের নভেম্বর থেকে চোটে জর্জরিত তামিম। যে কারণে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করতে পারছেন না। দীর্ঘদিন ধরেই পিঠের ব্যথায় ভুগছেন। প্রয়োজন ছিল পুরোপুরি টিটমেন্ট নেওয়ার; কিন্তু এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপ সন্নিকটে, তাই লন্ডন থেকে ইনজেকশন নিয়ে গত ৩১ জুলাই দেশে ফিরেছেন।
লন্ডনে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে কিছুদিন বিশ্রামের পর ইতোমধ্যে পুনর্বাসন প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছেন তামিম। গত কয়েক দিন ধরেই মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পেশাদার ক্রিকেটে ফেরার লড়াইয়ে ব্যস্ত দেশ সেরা এই ওপেনার।
বৃহস্পতিবার মিরপুরে তামিমকে দেখা গেছে ভিন্ন এক কৌশলে ট্রেনিং করতে। ফিজিও বায়জিদ ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে একাডেমি মাঠে এদিন কোমরে দড়ি বেঁধে পেছনে ভারি একটি বস্তু নিয়ে ট্রেনিং করেন তামিম।
জানা গেছে, নিজের ওজন কমাতেও ডায়েট ব্যবস্থা রেখেছেন তামিম। নিয়মিত সেই অনুযায়ীই করছেন খাওয়া-দাওয়া। কবেনাগাদ ব্যাট হাতে ফিরবেন এই ওপেনার সেটি অবশ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে- ২০ আগস্টের পর থেকেই ব্যাটিং প্র্যাকটিস শুরু করে দেন এই ড্যাশিং ওপেনার। সবকিছু ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে আবারো মাঠের ক্রিকেটে ফেরার চিন্তা রয়েছে তামিমের। এরপর ভারত বিশ্বকাপে খেলা।