আফগানিস্তানকে ১৫৫ রানে আটকে দিয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে ৬৪ রানে প্রথমসারির ৪ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে কিছুটা চাপের মধ্যে পড়ে যায় টাইগাররা।
তবে পঞ্চম উইকেটে তাওহিদ হৃদয় ও শামিম পাটোয়ারির দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে চাপ সামলে খেলায় ফেরে বাংলাদেশ।
১৭ ওভারের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ১৩৬ রান। জয়ের জন্য শেষ ১৮ বলে করতে হতো মাত্র ১৭ রান। ৩৮ ও ৩৩ রানে ব্যাটিংয়ে ছিলেন তাওহিদ হৃদয় ও শামিম।
১৮তম ওভারে মাত্র ৫ রান খরচ করে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া শামিমকে আউট করেন রশিদ খান। ২৫ বলে ৩৩ রান করেন শামিম। সাজঘরে ফেরার আগে হৃদয়ের সঙ্গে গড়েন ৪৩ বলে ৭৩ রানের জুটি।
ফজলহক ফারুকির করা ১৯তম ওভারে ৮ রান আদায় করে নেন তাওহিদ হৃদয়-মেহেদি হাসান মিরাজ।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল মাত্র ৬ রান। করিম জানাতের করা প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান মিরাজ। এরপর তিন বলে আউট হন মিরাজ, তাসকিন ও নাসুম আহমেদ।
পরপর তিন বলে উইকেট শিকারের হ্যাটট্রিক করে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন করিম জানাত। জয়ের জন্য শেষ দুই বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল মাত্র ২ রান। খেলার এমন অবস্থায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যাটিংয়ে নামা পেসার শরিফুলকে ‘ব্যাটে বল না লাগলেও দৌড়াবি’ এমন পরামর্শ দেন নন-স্টাইক ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয়।
পঞ্চম বলে ডিপ থার্ডম্যান অঞ্চল দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন শরিফুল।
শুক্রবার সিলেটে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ জয়ে ৩২ বলে তিন চার আর দুটি ছক্কায় ৪৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হন তাওহিদ হৃদয়।
খেলা শেষে হৃদয় বলেন, আমার বিশ্বাস ছিল সবার ওপরে। কারণ তাসকিন ভাই, নাসুম ভাই, এমনকি শরিফুল- সবাই খুব ভালো ব্যাটিং করে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ম্যাচে তাসকিন ভাই পরপর দুটি চার মারার পর আমরা ম্যাচ জিতে গেছি।
তিনি আরও বলেন, শরিফুলের ওপর বিশ্বাস আমার ছিল আগে থেকেই; কারণ ওর সম্ভাবনা আমি জানি। আমরা একসঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে খেলছি এবং সে বড় বড় ছয় মারতে পারে। শরিফুল আসা পর্যন্ত আমার বিশ্বাস ছিল। শরিফুলকে একটা কথাই বলেছিলাম- ব্যাটে বল না লাগলেও দৌড়াবি।
তরুণ এই তারকা ব্যাটসম্যান আরও বলেন, চাপের মধ্যেও আমি নরমাল ছিলাম। কারণ জানতাম, ২ রান লাগে মাত্র। একটা বলের ব্যাপার। বল ব্যাটে লাগলেই ১-২ রান হয়ে যাবে। সেই সময়টায় শান্ত থাকার চেষ্টা করেছি। যেহেতু নন-স্ট্রাইকে ছিলাম, চেষ্টা করেছি আমার পার্টনারদের যতটুকু ইনফরমেশন দেওয়া যায় যে বোলার কী বল করতে পারে।