এখনো ৮ ওভার শেষ হয়নি। অথচ চার উইকেট হারিয়ে সাকিবদের হাতে নাস্তানাবুদ আফগানরা।
শরীফুলের শিকার ইব্রাহিম জাদরান
আরেকবার শরীফুলের শিকার ইব্রাহিম জাদরান। শর্ট লেংথের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন ইব্রাহিম। ঠিক আগের বলেই পুল করতে গিয়ে টপ-এজড হলেও ছক্কা পেয়েছিলেন আফগানিস্তান এগোতে চাচ্ছে দ্রুতগতিতে, উইকেটও হারাচ্ছে সে গতিতেই। পঞ্চম ওভারে প্রথমবারের মতো এসেই সফল শরীফুলও।
নাসুমের পর তাসকিনের আঘাত
লেংথ পড়তে ভুল করেছেন গুরবাজ, ধোঁকা খেয়েছেন তাসকিনের কমিয়ে আনা গতিতেও। সে শট খেলেছেন, সেটি ঠিক স্লগও ছিল না, পুলও না। ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন ব্যাট। ডিপ স্কয়ার লেগে থাকা মিরাজের কাছে সরাসরি ক্যাচ গেছে।
এর আগে তাসকিনের স্লোয়ার মিড অফে ক্যাচ তুলেছিলেন গুরবাজ, তবে সাকিবের সামনে পড়ে ক্যাচ। এরপর আউটসাইড-এজ ফাঁকি দিয়ে যায় লিটনকে। গুরবাজ দুটি চার মেরেছিলেন এ ওভারে, তৃতীয় বাউন্ডারির আশায় খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে ফিরে গেছেন। ৪ ওভারের মাঝে দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলল আফগানিস্তান।
প্রথম আঘাত নাসুমের
আগের বলে স্লটে পেয়ে স্লগ করে ছক্কা মেরেছিলেন জাজাই। নাসুম এবার লেংথ সামনে নিলেন, জাজাই সেভাবে জায়গা পাননি। বল ওঠেওনি প্রত্যাশামত। তবুও ব্যাট ঘুরিয়েছিলেন আফগানিস্তান ওপেনার, তবে সুইপটা ঠিকঠাক করতে পারেননি। সরাসরি ক্যাচ গেছে স্কয়ার লেগে থাকা তাওহিদ হৃদয়ের হাতে। তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে প্রথম উইকেট হারিয়েছে আফগানিস্তান। দারুণ প্রতিশোধ নিলেন নাসুম।
বাংলাদেশ একাদশ: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, রনি তালুকদার, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।
আফগানিস্তান একাদশ: রশিদ খান (অধিনায়ক), রহমানউল্লাহ গুরবাজ, হজরতউল্লাহ জাজাই, ইব্রাহিম জাদরান, মোহাম্মদ নবি, নজিবুল্লাহ জাদরান, করিম জানাত, মুজিব উর রেহমান, ফজলহক ফারুকি, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, ফরিদ মালিক।