আইসিসি বিশ্বকাপের প্রথম দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলটি ১৯৮৩ সালে ভারতের বিপক্ষে হেরে রানার্সআপ হয়।
এরপর শিরোপা জয় তো দূরে থাক! ফাইনালেও যেতে পারেনি। ২০২০ সালের পর থেকে ধারাবাহিকতা হারাতে থাকে ক্যারিবীয়রা।
২০০৭ সালে নিজেদের ঘরের মাঠে ব্রায়ান লারার শেষ বিশ্বকাপে সাত ম্যাচের মধ্যে মাত্র দুটিতে জয় পায়। ২০১১ এবং ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায়। সবশেষ ২০১৯ সালের বিশ্বকাপেও হতাশা করে উইন্ডিজ।
এবারের আসরে বাছাইপর্ব থেকেই বিদায়। ৫ অক্টোবর ভারতে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপে দেখা যাবে না উইন্ডিজকে। ৪৮ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ছাড়া হবে বিশ্বকাপ।
গত শনিবার স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮১ রানে অলআউট হয়ে ৭ উইকেটে হেরে বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে যায় ক্যারিবীয়রা।
বিশ্বকাপের মূলপর্ব থেকে বাদ পড়ার পর দলটির সাবেক তারকা পেসার ইয়ান বিশপ ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে বলেছেন, আমাদের দলের ক্রমাগত পতন হয়েছে। আমি সব সময় বলে আসছি, এটা একদিনে এমন হয়নি। আমরা সম্ভবত এক দশক ধরে বড় দলগুলোর বিপক্ষে ধারাবাহিক পারফর্ম করতে পারিনি। দুইবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর টি-টোয়েন্টি পারফরম্যান্সও নিম্নমুখী।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে টেস্ট ও ওয়ানডে মিয়ে ১৬১ ও ১১৮ উইকেট শিকার করা বিশপ আরও বলেছেন, কিছু দল এক সময়ে শীর্ষে ছিল কিন্তু তারপরে আমি মনে করি তারা তাদের পারফরম্যান্সের কারণে অধঃপতনের দিকে যাচ্ছে। যেমনটি আমাদের হয়েছে। গত চার দশক ধরেই এমনটি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ১৯৮০ এবং ১৯৯০ এর দশকের প্রথমার্ধের মতো আধিপত্য বিস্তার করতে পারব না। আমি মনে করি বিশ্বের অন্যান্য দলগুলো খুব ভালো। ক্যারিবীয় অঞ্চলে আমাদের গুরুতর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে; যা বিশ্বজুড়ে কর্তৃপক্ষকে দেখতে হবে।
সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার আরও বলেন, আমি মনে করি পরেরবার আমাদের আরও ভালো করার সুযোগ থাকবে। জিম্বাবুয়ের উদাহরণ ধরুন, তারা যে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল এবং এই টুর্নামেন্টে তারা এখন কতটা ভালো করেছে।