![স্টোকসের লড়াইয়ের পরও ইংল্যান্ডের হার](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2023/07/02/image-691570-1688312794.jpg)
বেন স্টোকসের লড়াইয়ের পরও হার এড়াতে পারেনি ইংল্যান্ড। বার্মিংহ্যামের মতো লর্ডস টেস্টেও হারল স্বাগতিকরা। অ্যাশেজের পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।
জয়ের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ৩৭১ রান। অধিনায়ক বেন স্টোকস ব্যাটিংয়ে থাকাকালীন জয়ের পথেই ছিল ব্রিটিশরা।
একটা সময় ৬ উইকেটে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৩০১ রান। ১৫৫ রানে ব্যাটিংয়ে ছিলেন অধিনায়ক বেন স্টোকস। তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন পেসার স্টুয়ার্ড ব্রড। সেই সময়ে জয়ের সুবাস পাচ্ছিল ইংরেজরা।
কিন্তু এরপর মাত্র ১ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যায় ইংল্যান্ড। ২১৬ বলে ৯টি চার আর ৯টি ছক্কার সাহায্যে ১৫৫ রান করে ফেরেন স্টোকস। ওলি রবসন ফেরেন মাত্র ১ রানে। ব্রড ফেরেন ১১ রানে।
শেষ উইকেটে জেমস অ্যান্ডারসনকে সঙ্গে নিয়ে ২৫ রানের জুটি গড়ার পর আউট হন জস টাং। ২৬ বলে ১৯ রান করে তার বিদায়ে ৩২৭ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড।
লর্ডসে আগে ব্যাট করে স্টিভ স্মিথের (১১০) সেঞ্চুরিতে ভর করে প্রথম ইনিংসে ৪১৬ রান করে অস্ট্রেলিয়া। এছাড়া ৭৭ ও ৬৬ রান করে করেন ট্রাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নার। ইংল্যান্ডের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন ওলি রবসন ও জস টাং।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে বেন ডাকেটের ৯৮ আর হ্যারি ব্রুকসের ৫০ রানের ইনিংসের পরও ৩২৫ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক।
৯১ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে উসমান খাজার ৭৭ রানের সুবাদে ২৭৯ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া।
জয়ের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডকে করতে হতো ৩৭১ রান। মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স ও জস হ্যাজলউডের গতির মুখে পড়ে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত ৪৩ রানে হেরে যায় ইংল্যান্ড।