ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু হতে এখনো চার মাসেরও বেশি সময় বাকি। তবে বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে এ বিশ্বকাপে পাকিস্তান অংশ নেবে কিনা সেটিও নিয়ে রয়েছে বড় সংশয়। এরই মধ্যে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি মন্তব্য করেছেন, পাকিস্তান যদি এ বিশ্বকাপে অংশ না নেয়, তা হলে বড় ভুল করবে। মূলত পিসিবিপ্রধান অংশ না নেওয়ার পক্ষে মত দেওয়ার পরই এ মন্তব্য করেন সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি।
এদিকে বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবনা থেকে বাদ পড়েনি হাসান আলির। ভাবনাটাও যদি ইতিবাচক হতো তা হলেও বিষয়টা সুন্দর হতো। কিন্তু তিনি ভাবছেন উল্টোটা।
বড় কোনো টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার সময় খেলোয়াড়েরা সচরাচর যা ভাবেন, তার ঠিক বিপরীত অবস্থানে হাসান। বিশ্বকাপে নিজের খেলার সম্ভাবনা নেই বলেই মানছেন তিনি। তার মতে, আগামী বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলের অংশ হওয়ার সুযোগ তার কম। স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এমনটিই জানিয়েছেন পাকিস্তানি পেসার।
হাসানের মতো এমন স্পষ্টভাষী খেলোয়াড় ক্রীড়াঙ্গনে খুবই কম, যিনি বাস্তবতা বুঝে নিজের বিচার নিজেই করতে পারেন। তিনি বলেছেন, এ মুহূর্তে অসম্ভব মনে হচ্ছে যে, আমি পিসিবির পরিকল্পনায় আছি। সত্যটা হচ্ছে— নিজেকেও বিশ্বকাপের অংশ মনে করছি না। টুর্নামেন্টটি দ্রুত ঘনিয়ে আসছে এবং মেগা ইভেন্টের জন্য ইতোমধ্যে দলও প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। আমাদের হাতে খুব বেশি ওয়ানডে ম্যাচ বাকি নেই, যা আছে সেটি এশিয়া কাপের। কিন্তু টুর্নামেন্টের স্থানও এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নয়। সময়ও কমে আসছে।
পাকিস্তান বরাবরই পেস বোলিংয়ের উর্বর ভূমি। দুর্দান্ত সব পেসারের দেখা পাওয়া যায় এই দেশে। ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিস, শোয়েব আখতারদের সময় শেষ হওয়ার পর দেশটির পেস বোলিংয়ে বর্তমানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রউফ ও মোহাম্মদ হাসনাইনরা।
হাসান সর্বশেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন গত বছরের ১২ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এর পর আর কখনো সুযোগ পাননি তিনি ।
তাই বিশ্বকাপে নিজেকে না দেখার কারণ হিসেবে বলেছেন, পাকিস্তানের বর্তমান পেসাররা দুর্দান্ত পারফর্ম করছে। তারা দলের অংশ হওয়ার যোগ্য। জাতীয় দলে আমার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি। তবে কেউ-ই ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে না যে, কখনো সুযোগ আসবে না। যদি সুযোগ পাই তা হলে দলের জয়ে নিজের সবকিছু নিংড়ে দিতে প্রস্তুত থাকব।