রিয়াল মাদ্রিদকে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতিয়ে গত বছর ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন ফরাসি ফরোয়ার্ড করিম বেনজেমা।
গত ডিসেম্বরে ৩৬ বছরের হাহাকার ঘুচিয়ে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের পর এ বছর ব্যালন ডি’অরের সবচেয়ে বড় দাবিদার ভাবা হচ্ছিল লিওনেল মেসিকে।
কিন্তু মৌসুমের শেষভাগে এসে বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়ার দৌড়ে মেসিকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছেন ম্যানসিটির গোলমেশিন আর্লিং হলান্ড।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের পথে থাকা সিটিকে এবার এফএ কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তুলেছেন হলান্ড। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এখন পর্যন্ত করেছেন ৫২ গোল।
সিটি শেষ পর্যন্ত ট্রেবল জিতলে নরওয়ের ফরোয়ার্ড হলান্ডের হাতেই উঠতে পারে ব্যালন ডি’অর। মেসি ও হলান্ডের অঘোষিত শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই উসকে দিয়েছে পুরোনো বিতর্ক।
সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতালেও ক্লাব ফুটবলে এবার বলার মতো কোনো সাফল্য নেই মেসির। পিএসজির হয়ে এবার শুধু ফরাসি লিগ জেতার সুযোগ আছে আর্জেন্টাইন মহাতারকার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ভরাডুবি ঘটেছে পিএসজির।
অন্যদিকে নরওয়ে বাছাইপর্ব থেকে বাদ পড়ায় বিশ্বকাপে হলান্ড ছিলেন দর্শক। ফুটবলবোদ্ধাদের একাংশের অভিমত, বিশ্বকাপের মৌসুমে ব্যালন ডি’অর জয়ের ক্ষেত্রে বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সই বড় প্রভাবক। তাদের পরিষ্কার ফেভারিট তাই মেসি। এ প্রসঙ্গে হলান্ডের সমর্থকরা সামনে আনছে ২০১০ সালের উদাহরণ।
সেবার স্পেনকে বিশ্বকাপ জিতিয়েও বর্ষসেরার লড়াইয়ে বার্সেলোনা সতীর্থ মেসির কাছে হার মেনেছিলেন জাভি হার্নান্দেজ ও আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। সেবার আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে ব্যর্থ হলেও লা লিগায় সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়ে বাজিমাত করেছিলেন মেসি।
এবার হলান্ডও প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়েছেন। তবে কী ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে?