বুধবার মিয়ানমারে শুরু হবে অলিম্পিক ফুটবলের এশিয়ান অঞ্চলের খেলা। চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। অর্থের অভাবে সেখানে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নারী দলকে পাঠাতে পারেনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
সাবিনাদের মিয়ানমার না পাঠানোর প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে আমাকে ফোন করেছিল। দল পাঠাতে আর্থিক সাহায্যের কথাও জানিয়েছে। আর্থিক সমস্যার কথা প্রধানমন্ত্রীকে কেন জানাইনি, এ কথাও আমাকে বলা হয়েছে।’
সালাউদ্দিনের এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে উপস্থিত সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ম্যাচ চলাকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করেন। সেখানে ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি কেন প্রধানমন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করেননি। এই দূরত্ব কেন?
সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘সবার ব্যক্তিত্ব তো এক না। আমি তো লোক দেখিয়ে বলব না, এই প্রধানমন্ত্রী ফোন দিয়েছে। আমি ওই রকম না। আমি ফুটবল ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছি। আমি ওই নাটক করতে পারব না। আমি প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা করি। আমি লোক দেখাতে পারব না।’
গত ১৪ মার্চ তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে হারানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে মিরপুরে হোয়াইটওয়াশ করে টাইগাররা। সেই ম্যাচে ৫৭ বলে ১০টি চার আর এক ছয়ের সাহায্যে সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন লিটন দাস।
সেদিন মিরপুরে লিটনকে একের পর এক চার-ছক্কা মারতে দেখে একটু টেনশনে পড়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি খেলা চলাকালীন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে একাধিকবার ফোন করেন।
খেলা শেষ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী তাকে কি বলেছিলেন সে কথা সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে বলছিলেন নাজমুল হাসান পাপন- ‘একবার নয়, একাধিকবার ফোন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। যখন লিটন দাস চার-ছয় মারছিল তখন উনি বলছিলেন- এত ছয় মারতে গিয়ে আউট হয়ে যায় যদি!’ আমি বলছি, ‘আউট হয়ে গেলেও অসুবিধা নেই, মাত্র কয়েকটা ওভার বাকি রয়েছে, এখন মারতেই হবে। এরকমভাবে খেলার মধ্যেও ফোন করছিলেন। উনি বল বাই বল খেলা দেখেন।