হোয়াইটওয়াশ এড়াতে হলে আয়ারল্যান্ডকে করতে হবে ১২০ বলে ১২৫ রান। সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে ২.৪ ওভারে দলীয় ১৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় আইরিশরা। পেস বোলার তাসকিন আহমেদের বলে স্টাম্প উড়ে গেল রোস এডেয়ারের। তিনি ৯ বলে ৭ রানে ফেরেন।
এর আগে শামীম পাটোয়ারীরর ৫১ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসে ভর গরে ১৯.২ ওভারে ১২৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে ৪২ বলে ৫টি চার আর ২টি ছক্কার সাহায্যে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন শামীম।
শুক্রবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক সাকিব। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে একের পর এক উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে যায় টাইগাররা।
৯.৩ ওভারে স্কোর বোর্ডে মাত্র ৬১ রান জমা করতেই ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যায় বাংলাদেশ।
১.১ ওভারে দলীয় ৯ রানে ফিওন হ্যান্ডের অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে স্ল্যাশ করতে গিয়ে থার্ডম্যানে ক্যাচ তুলে দেন ওপেনার লিটন দাস। তিনি ৪ বলে ৫ রানে ফেরেন।
হ্যারি টেক্টরের বলে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৮ বলে ৪ রান করে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
৩.৫ ওভারে দলীয় ২৪ রানে কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন রনি তালুকদার। তিনি ১০ বলে ১৪ রানে ফেরেন।
মার্ক এডেয়ারের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দেন অধিনায়ক সাকিব।
সাকিব আউট হওয়ার পর শূন্য রানের ব্যবধানে ফেরেন তাওহিদ হৃদয়ও। তিনি বেন হোয়াইটের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে আউট হন।
ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন এই ম্যাচে অভিষেক হওয়া রিশাদ হোসেন। ম্যাথু হামফ্রিসের বলে আড়াআড়ি শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হন লেগ স্পিনার রিশাদ। রিশাদকে আউটকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই উইকেটের দেখা পান হামফ্রিস।
৯.৩ ওভারে দলীয় ৬১ রানে ম্যাথু হামফ্রিসের শিকার হন তাসকিন আহমেদ। স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তারকা পেসার।
গ্যারেথ ডেনশিল শিকার হয়ে ফেরেন নাসুম আহমেদ। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে মার্ক এডেয়ারের শিকার হন শরিফুল। শেষ ওভারে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন শামীম।