রোবটের সঙ্গে সাকিব আল হাসানের তুলনা করলে খুব বেশি ভুল হবে না। ক্লান্তি যেন তাকে স্পর্শ করতে পারে না। বিমানেই কাটে লম্বা সময়। এই তো আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের আগে-পরে দুবার সিলেট থেকে ঢাকায় এলেন এই বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার।
এবার বাংলাদেশ বিমান সাকিবকে তাদের শুভেচ্ছাদূত বানাল। আগের দিন সিলেটে ম্যাচ খেলে মঙ্গলবার আবার ঢাকায় এসেছিলেন সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। এত চাপ কীভাবে নিতে পারেন? সাকিব জানালেন, যে পারে, সে সব পারে।
আইরিশদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি করেন মুশফিকুর রহিম। তাতে বাংলাদেশও উঠে যায় নতুন উচ্চতায়। ৩৪৯ রানের পাহাড় গড়ে টাইগাররা। তবে অনেক রেকর্ডের ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ভেসে যায় বৃষ্টিতে।
এ নিয়ে একটু আফসোস আছে সাকিবের, ‘জিতলে অবশ্যই ভালো হতো, বিশেষ করে যারা ভালো খেলছে তাদের জন্য। মুশফিক ভাইয়ের জন্য আরও ভালো হতো। কিন্তু বৃষ্টি তো আমাদের হাতে নেই, এটা হতেই পারে।’
আয়ারল্যান্ড সিরিজের দুদিন আগে দুবাই থেকে দেশে ফেরেন সাকিব। এরপর সিলেটে প্রথম ওয়ানডে শেষে পরের দিন সকালে ঢাকায় এআইইউবি’র সমাবর্তনে যোগ দেন। দ্বিতীয় ওয়ানডের পর কাল আবার এলেন ঢাকায়। খেলার মধ্যে এত বেশি ভ্রমণের ধকল কীভাবে সামলান? সাকিবে কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যে পারে, সে সবই পারে।’