টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার পথে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিন ম্যাচেই চল্লিশোর্ধ ইনিংস খেলে সিরিজসেরা হন টপঅর্ডার এই ব্যাটসম্যান। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ছোঁয়া লেগেছে র্যাংকিংয়ে। এর ফলে ব্যাটসম্যানদের তালিকায় বড় লাফ দিয়েছেন তিনি। তবে থেমে থাকেননি লিটন কুমার দাসও।
সম্প্রতি পুরুষদের র্যাংকিংয়ে সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রকাশ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ অভিভাবক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। শান্ত ও লিটন দুজনই ভালো জায়গা করে নিয়েছেন ক্যারিয়ারসেরা অবস্থানে। ৬৮ ধাপ এগিয়ে এখন ১৬ নম্বরে শান্ত। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে বর্তমানে যা সেরা অবস্থান। লিটন এগিয়েছেন ৯ ধাপ, উঠে এসেছেন আগের সেরা ২২ নম্বরে।
ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৫১ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন শান্ত। পরের দুই ম্যাচেই ছিলেন তিনি অপরাজিত, করেন যথাক্রমে ৪৬ ও ৪৭ রান। সিরিজের সর্বোচ্চ ১৪৪ রান তার। প্রথম দুই ম্যাচে নিষ্প্রভ ছিলেন লিটন, করেন কেবল ১২ ও ৯ রান।
তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে জ্বলে উঠেন এই ওপেনার। ৭৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে জিতে নেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। সিরিজের শেষ ম্যাচে ফিফটি করে এক ধাপ এগিয়ে ৭ নম্বরে এখন ইংল্যান্ডের দাভিদ মালান। বেশিরভাগ ইংলিশ ব্যাটসম্যানেরই তালিকায় অবনতি হয়েছে।
টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের র্যাংকিংয়ে আগের মতোই সবার ওপরে ভারতের সূর্যকুমার যাদব। পরের দুই স্থানে পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম।
এই সংস্করণের বোলারদের র্যাংকিংয়ে অনেকটা ওপরে উঠে এসেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। সিরিজে স্রেফ ১ উইকেট নেওয়া এই পেসারের উন্নতি ১৬ ধাপ, আছেন ২০তম স্থানে। যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬ উইকেট নিয়ে সাকিব আল হাসান এগিয়েছেন ৯ ধাপ। বাংলাদেশ অধিনায়কের অবস্থান ২৪ নম্বরে।
পুরো সিরিজে চমৎকার বোলিং উপহার দিয়ে ৪ উইকেট নেওয়া তাসকিন আহমেদও এগিয়েছেন। ৭ ধাপ এগিয়ে যৌথভাবে মিচেল স্টার্কের সঙ্গে ৪১ নম্বরে এই পেসার। অনেকটা এগিয়ে এখন ৪৭তম স্থানে হাসান মাহমুদ।
টি-টোয়েন্টি বোলারদের র্যাংকিংয়ে যথারীতি শীর্ষ তিনে শ্রীলংকার ভানিন্দু হাসারাঙ্গা, আফগানিস্তানের রশিদ খান ও অস্ট্রেলিয়ার জশ হেইজেলউড। এই সংস্করণের অলরাউন্ডারদের তালিকায় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন সাকিব।