সাফজয়ী অধিনায়কের জীবন এখন শুধুই অন্ধকার!
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৩:১০ পিএম
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের পিঙ্গাবহ এলাকার ছেলে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক রজনীকান্ত বর্মণ। ২০০৩ সাফজয়ী অধিনায়ক রজনী এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বাড়ি, জমি সব বিক্রি করে দিয়েছেন। বাফুফে রজনীর খবর রাখেনি।
এক বছর আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলিতে মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে পঙ্গু হওয়ার পথে রজনী। চিকিৎসার পরও স্বাভাবিক হাঁটাচলা করতে পারছেন না। গত বছর নভেম্বরে স্ত্রী মৌসুমী বর্মণকে হারিয়েছেন এই সাবেক ডিফেন্ডার।
তাদের দুই মেয়ে ঋত্তিকা বর্মণ ও মহিমা বর্মণ ভারতে নানাবাড়িতে থেকে বর্ধমান ও হুগলির দুটি কলেজে অনার্সে পড়ছেন। মেয়েদের লেখাপড়া ও ভরণপোষণ এবং কালিয়াকৈরে বৃদ্ধা মা মধুমালা, ছোট ভাই সুকান্ত বর্মণ ও দ্বিতীয় স্ত্রীর ভরণপোষণের খরচ জোগাতে অক্ষম রজনী। সহযোগিতা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ছোটবেলায় ফুটবল খেলার নেশা ছিল। অভাবের সংসারে থেকে অনেক কষ্টে তখন টাকা-পয়সা ছাড়াই শুধু একবেলা খেয়ে স্থানীয় দলের হয়ে খেলতাম। নেশা থেকে পেশা হিসাবে ফুটবল খেলা। স্বপ্ন ছিল জাতীয় দলে খেলার। সেটি সত্যি হয়েছে।’
সাফজয়ী অধিনায়ক বলেন, ‘যখন একা বসে পরিবার নিয়ে চিন্তা করি, তখন মনে হয় ফুটবলে এসে ভুল করেছি। আবার যখন রাস্তায় বের হই মানুষ সম্মান করে, তখন মনে হয়, না ভুল করিনি।’
তিনি বলেন, ‘শুধু বাফুফে নয়, কেউই আমার খবর রাখেনি। আমার এ দুরবস্থায় সাবেক ফুটবল তারকা আবদুল গাফফারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহায়তার জন্য আবেদন করেছি। জীবনের বাকি সময় সচ্ছলভাবে চলার জন্য একটা ব্যবস্থা এখন আমার খুবই প্রয়োজন।’