গত বছরের ১৩ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয় পাকিস্তান বনাম ইংল্যান্ড।
বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ ফাইনালে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ১১ ওভারে ২ উইকেটে ৮৪ রান করে পাকিস্তান। পরের ৫ ওভারে ৩০ বলে ২ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে ৩৫ রান। আর শেষ ৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন দলটি করে মাত্র ১৮ রান।
পাকিস্তানকে ১৩৭/৮ রানে আটকে দিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন ইংলিশ পেসার স্যাম কারান। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১২ রানে শিকার করেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন আদিল রশিদ ও ক্রিস জর্ডান।
টার্গেট তাড়ায় অলরাউন্ডার বেন স্টোকসের ৪৯ বলের অনবদ্য ৫২ রানের ইনিংসে ভর করে ৬ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড।
ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ২.১ ওভারে মাত্র ১৩ রান খরচ করে চোটাক্রান্ত হয়ে মাঠ ছাড়েন পাকিস্তানের তারকা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। আফ্রিদি শেষ ২ ওভার বোলিং করতে পারলে হয়তো ম্যাচটা অন্যরকম হতে পারত।
এ ব্যাপারে ক্রিকেট ইতিহাসের দ্রুতগতির পেসার ও পাকিস্তানের সাবেক তারকা ক্রিকেটার শোয়েব আখতার বলেছেন, আমি যদি শাহিন আফ্রিদি হতাম, তাহলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তানের হয়ে হাঁটুতে ইনজেকশন নিয়ে খেলতাম। আমি ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে ওই দুই ওভার বল করতাম, আমি পড়ে যেতাম, আবার উঠতাম, আবার পড়ে যেতাম, আবার উঠতাম এবং তখনো বল করতাম।
শোয়েব আখতারের মতো ভারতীয় কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, শাহিন আফ্রিদি চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ার কারণেই পাকিস্তান হেরে যায়।
পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমও ফাইনাল ম্যাচ হারার পরে একই কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছেন, আমাদের বোলিং অন্যতম সেরা; কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত শাহিনের চোটের কারণে আমরা চাপে পড়ে যাই। ফলও তাই পালটে যায়। তবে এটা তো খেলারই অংশ।