প্রথম প্রেম নাকি টেকে না। তবে মেসি-রোকুজ্জোর ক্ষেত্রে অন্তত এ কথাটি বেমানান। শৈশবে একে অপরের বন্ধু, এরপর প্রেম থেকে বিয়ে। আন্তোনেলা রোকুজ্জো শুধু মেসির স্ত্রী নন, মেসির শৈশব থেকে কিংবদন্তি হয়ে ওঠার সাক্ষী। মেসির হাজারও অর্জন, সুখ-দুঃখের সাক্ষী তো বটেই। শুনতে অবাক লাগলেও সত্য মেসির সঙ্গে রোকুজ্জোর প্রেমের গল্পের শুরুটা মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনার মাধ্যমে।
২০০৭ সালে ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনায় আসেন মেসি। তবে ক্লাবে যোগ দেওয়ার কিছুদিন পরেই মেসির কাছে খবর আসে, মারাত্মক গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন রোকুজ্জো। এই দুসংবাদ পেয়েই বাড়ি ফিরে যান মেসি। পাশে দাঁড়ান আন্তোনেলার। আর এই ঘটনার মাধ্যমে অনেকটা কাছাকাছি চলে আসেন মেসি-রোকুজ্জো। এরপর থেকেই মেসি-আন্তোনেলাকে আর কেউ আলাদা করতে পারেনি।
আর্জেন্টিনার জনপ্রিয় ফুটবলভিত্তিক ওয়েবসাইট গোল ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আন্তোনেলার সঙ্গে মেসির প্রথম পরিচয় মাত্র পাঁচ বছর বয়সে। ছোটবেলা থেকেই মেসি-আন্তোনেলা একে অপরকে চিনতেন। সম্পর্কে মেসির এক বন্ধুর বোন ছিলেন রোকুজ্জো। বরাবরই মেসি একটু লাজুক প্রকৃতির। তখন থেকেই নিয়মিত আন্তোনেলার বাড়িতে দেখা করতে যেতেন মেসি।
২০০৯ সালে গণমাধ্যমে চাউর হয় মেসি-আন্তোনেলার প্রেমের গুঞ্জন। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে খেলেন তরুণ মেসি। এরপরই রোকুজ্জোকে একসঙ্গে থাকার প্রস্তাব দেন। লিওর প্রস্তাব ফেরাতে পারেননি রোকুজ্জো। একসঙ্গে থাকা শুরু করেন তারা।
ক্লাবের জার্সিতে সব শিরোপা জিতলেও জাতীয় দলের জার্সিতে একটি বিশ্বকাপের অপেক্ষা যেন শেষ হচ্ছিল না মেসির। বিশ্বকাপ না জেতায় দেশের মানুষের অবজ্ঞার পাত্র হয়েছেন নানা সময়। তবুও হাল ছাড়েননি মেসি, সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। অবশেষে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে এসে সেই আক্ষেপ ঘুচল তার। স্বপ্নের শিরোপা জিতে নিজেকে কিংবদন্তিদের কাতারে নিয়ে গেলেন এই আর্জেন্টাইন তারকা।
২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এ দিনটি হয়তো কখনই ভুলবেন না মেসি। কারণ এই দিনেই যে অধরা সেই বিশ্বকাপ জিতেছেন মেসি। নিজেকে প্রমাণ করেছেন সর্বকালের সেরা হিসেবে। জীবনের অন্যতম এই স্মরণীয় দিনটিতেও মেসির পাশে ছিলেন স্ত্রী রোকুজ্জো।