বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএলে) ম্যাচগুলো দারুণ কেটেছে সাকিব আল হাসানের। তবে এলিমিনেটর ম্যাচে হেরে বিদায় না নিলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে মিরপুরে দেখা যেত ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে।
সেটা আর হলো না। তবে প্রায় একই সময় তিনি মাঠে খেলার মাঝেই থাকবেন, তবে সেটা প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার দূরে করাচিতে।
পেশোয়ার জালমির হয়ে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) খেলবেন সাকিব। সোমবারই পিএসএল খেলতে পাকিস্তান উড়াল দিয়েছেন বাংলাদেশের শীর্ষ তারকা। বিপিএলে এলিমিনেটর ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিদায়ের পর সোজা করাচির পথ ধরেন সাকিব।
পেশোয়ার জানায়, পিএসএলে সাকিবের সঙ্গে তাদের পাঁচ ম্যাচের চুক্তি হয়েছে। বিসিবিও সেই অনুযায়ী তাকে অনাপত্তিপত্র দিয়ে রেখেছে। করাচি, মুলতান, লাহোরের তিন মাঠে পাঁচ ম্যাচ খেলে দেশে ফিরবেন সাকিব। এরপরই শুরু হয়ে যাবে তার ইংল্যান্ড সিরিজের ব্যস্ততা।
সেই অনুযায়ীই আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাকিবকে খেলার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
পিএসএলে সাকিবের পাঁচ ম্যাচের সময়সূচি :
১. ১৪ ফেব্রুয়ারি পেশোয়ার জালমি- করাচি কিংস রাত সাড়ে ৮টা। ২. ১৭ ফেব্রুয়ারি পেশোয়ার জালমি-মুলতান সুলতান্স রাত সাড়ে ৮টা। ৩. ২০ ফেব্রুয়ারি পেশোয়ার জালমি-মুলতান সুলতান্স রাত সাড়ে ৮টা। ৪. ২৩ ফেব্রুয়ারি পেশোয়ার জালমি-ইসলামাবাদ ইউনাইটেড রাত সাড়ে ৮টা। ৫. ২৬ ফেব্রুয়ারি পেশোয়ার জালমি- লাহোর কালান্দার্স রাত সাড়ে ৮টা।
বিপিএলে বরিশালের হয়ে এবার সাকিব ছিলেন দুর্দান্ত। তবে আসরের শেষটা তার জন্য ভালো হয়নি। রংপুর ইডার্সের বিপক্ষে এলিমিনেটর ম্যাচে ব্যাট করতে নামেননি তিনি। ম্যাচে তার দল পর্যাপ্ত পুঁজি পায়নি। যার কারণে তার ব্যাটে না নামা নিয়ে তৈরি হয় বিতর্কের। স্বয়ং বরিশালের ফেসবুক পেইজ থেকে এ নিয়ে সাকিবের সমালোচনা করে পোস্ট করা হয়। যদিও পরে ওই এডমিনকে শোকজ করে টিম কর্তৃপক্ষ।
এর আগে আসরের ১৩ ম্যাচে তিন ফিফটিতে ১৭৪.৪১ স্ট্রাইক রেট ও ৪১.৬৬ গড়ে ৩৭৫ রান করেন সাকিব। একইসঙ্গে তিনি ১০ উইকেট শিকার করেছেন।
পিএসএলের নিলামে অবশ্য এবার সাকিবকে কেউ দলে নেয়নি। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে পেশোয়ার জালমি কিনে নিয়েছে সরাসরি চুক্তিতে। বাবর আজমকে অধিনায়ক করে গড়া দলটিতে ভানুকা রাজাপাকসে, জিমি নিশাম, মুজিব-উর-রহমান, রভম্যান পাওয়েল এবং ওয়াহাব রিয়াজের মতো তারকারা রয়েছেন।