জিনেদিন জিদানকে নিয়ে বেফাঁস ও বিতর্কিত মন্তব্য করে তীব্র সমালোচানার মুখে ক্ষমা চাইলেন ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান নোয়েল লে গ্রায়েত। পিএসজির ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে কিংবদন্তি জিদানের প্রতি অসম্মান মেনে নিতে পারেননি। তিনি একহাত নিয়েছেন গ্রায়েতকে। রিয়াল মাদ্রিদও তাদের সাবেক খেলোয়াড় ও কোচ জিদানের পাশে দাঁড়িয়েছে। কড়া বিবৃতি দিয়েছে রিয়াল।
প্রতিকূল পরিস্থিতি বুঝতে পেরে জিদানের কাছে ক্ষমা চাইলেন গ্রায়েত, ‘ওই মন্তব্যগুলোর জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যেখানে যথাযথভাবে আমার ভাবনা প্রতিফলিত হয়নি। খেলোয়াড় ও কোচ হিসাবে তিনি কেমন ছিলেন, তা নিয়ে আমার মূল্যায়নও উঠে আসেনি।’
ফ্রান্সের কোচ হিসাবে দিদিয়ের দেশমের মেয়াদ বাড়ানো থেকে বিতর্কের সূত্রপাত। দেশমের চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাড়িয়েছে ফরাসি ফেডারেশন। এবার জিদান দায়িত্ব পেতে পারেন বলে গুঞ্জন ছিল। নিজের দেশে উপেক্ষিত ’৯৮ বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি কিংবদন্তি জিদান ব্রাজিল দলের দায়িত্ব পেতে পারেন বলেও গুঞ্জন আছে।
ফ্রান্সের আরএমসি রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে গ্রায়েত বলেন, ‘জিদান ব্রাজিলে? এ নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই। তার যেখানে ইচ্ছা সে যেতে পারে। যা ইচ্ছা করতে পারে। আমি পরোয়া করি না। তার শুভাকাঙ্ক্ষির অভাব নেই।’ জিদানের পক্ষ থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল কি না, এই প্রশ্নে গ্রায়েতের উত্তর বিতর্কের আগুনে ঘি ঢেলে দেয়, ‘জিদান যদি আমাকে ফোনও করত, তাতে কী হতো? কিছুই হতো না। চেষ্টা করলেও আমি তার ফোন ধরতাম না।’
গ্রায়েতের সাক্ষাৎকার প্রচারিত হওয়ার পরই তুমুল হইচই শুরু হয় ফ্রান্সে। রোববার রাতে নিজের ক্ষোভ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উগরে দেন এমবাপ্পে, ‘জিদানই ফ্রান্স। তার মতো একজন কিংবদন্তিকে আমরা অসম্মান করতে পারি না।’
খেপেছেন ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রী আমিলি ইউদেহা কাস্তেহাও, ‘দেশের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া সংস্থাটি নিশ্চিতভাবেই সীমা ছাড়িয়ে গেছে। একজন কিংবদন্তিকে নিয়ে এমন মন্তব্য আমাদের সবাইকে আঘাত করেছে। শ্রদ্ধাবোধের লজ্জাজনক ঘাটতি ফুটে উঠেছে এখানে। অবশ্যই ক্ষমা চাওয়া উচিত সভাপতির।’ এরপরই বোধোদয় হয় গ্রায়েতের। ক্ষমাত চাইতে বাধ্য হন তিনি।