আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকেই ধারাবাহিক পারফর্ম করে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন বিরাট কোহলি। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে সফল হলেও অধিনায়ক হিসেবে তেমন কোনো সাফল্যই পাননি কোহলি। যে কারণে নেতৃত্ব হারিয়েছেন তিনি।
কোহলির পর ভারতীয় দলের নেতৃত্ব সামলাচ্ছেন আইপিএলের সফল অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তার অধিনায়কত্বে রেকর্ড পাঁচবার শিরোপা ঘরে তুলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রোহিত শর্মার নেতৃত্বে খেলে ভারত। টুর্নামেন্টের হট ফেভারিট হয়েও সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে আসর থেকে বিদায় নেয় রোহিত-কোহলিরা। ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জিতে ইংল্যান্ড।
চলতি বছর ভারতেই হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ হলেও অধিনায়ক রোহিতের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না ভারতীয় কিংবদন্তি কপিল দেব।
১৯৮৩ সালে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব বলেছেন, আপনি যদি বিশ্বকাপ জিততে চান, কোচ, নির্বাচক এবং টিম ম্যানেজমেন্টকে কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ব্যক্তিগত স্বার্থকে পেছনে ফেলতে হবে এবং তাদের দল নিয়ে ভাবতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কোহলি-রোহিত বা ২-৩ জন প্লেয়ারের ওপর যদি ভরসা করেন যে, তারা বিশ্বকাপ জিতিয়ে দেবে- এমনটা কিন্তু কখনো হবে না। পুরো দলের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। আমাদের এমন খেলোয়াড় আছে যারা বিশ্বকাপ জেতাতে পারে।
ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক আরও বলেন, সব সময়েই দুই-একজন খেলোয়াড় থাকে, যারা আপনার দলের স্তম্ভ হয়ে দাঁড়ায়। দল তাদের চারপাশে ঘুরে কিন্তু আমাদের সেটা ভেঙে অন্তত ৫-৬ জন খেলোয়াড় তৈরি করতে হবে। সেজন্যই আমি বলছি, শুধু বিরাট এবং রোহিতের ওপর নির্ভর করা ঠিন নয়। এমন খেলোয়াড়দের দরকার, যারা তাদের প্রতিটি দায়িত্ব পালন করে। তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে এবং বলতে হবে, এখন আমাদের সময়।
এবিপি নিউজকে কপিল দেব আরও বলেন, সবচেয়ে বড় ইতিবাচক হলো বিশ্বকাপ ভারতে হবে। আমাদের থেকে ভালো কন্ডিশন কেউ জানে না। গত ৮-১০ বছর ধরে রোহিত এবং বিরাট ভারতের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুই ক্রিকেটার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। অনেকেই প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন, এটা বিরাট এবং রোহিতের শেষ বিশ্বকাপ হবে কিনা!
তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি, ওরা খেলতে পারবে, কিন্তু তার জন্য ওদের সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। ফিটনেস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সেখানে অনেক তরুণ উঠে আসছে, ওরা কি সেই তরুণদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে? এই প্রশ্নটা তো থাকছেই। তবে সবকিছু নির্ভর করবে, কীভাবে ওরা খেলতে চায়। পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই।