শেষ বলে জমে সবচেয়ে বড় নাটকীয়তা। ব্লেসিং মুজারাবানিও উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলার চেষ্টায় হয়ে যান স্টাম্পড।
জয়ের উল্লাসে মাতে বাংলাদেশ। দুই দল মাঠ ছেড়েও চলে যায়। পরে রিপ্লেতে দেখা যায় স্টাম্পের আগেই বল ধরেছেন কিপার নুরুল হাসান সোহান। ‘নো’ বল!
তাতে আবার দুই দলকে নামতে হয় মাঠে।
এরপর মোসাদ্দেক ফের নিজের শক্তিমত্তার পরিচয় দেন। তার ফি-হিটের বলেও রান নিতে পারেননি মুজারাবানি। ফলে ৩ রান জয়ের উচ্ছ্বাসে ভাসে বাংলাদেশ।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে সেই মুহূর্তের কথাই জানালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
তিনি জানালেন, কিপার সোহানকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন।
সাকিব হেসে বলেন, 'শেষ বলে আমি সোহানকে বল সংগ্রহ করার সময় স্টাম্পের কাছাকাছি আসতে দেখেছিলাম। আমি তাকে সাবধানে থাকতে বলেছিলাম, কিন্তু তাই হয়েছিল শেষে। দ্বিতীয় শেষ বলের আড়ে আমি তাকে সতর্ক করে দিয়েছিলাম যে, আম্পায়ার কিন্তু বিষয়টি চেক করেছেন। এবার সর্তক থাকো। (হা হা) '
জয়ের উচ্ছ্বাসে মাঠ ছেড়ে আবার নামতে হলো। কেমন লাগছিল তখন?
সঞ্চালকের এমন প্রশ্নে সাকিব বললেন, আমি তো খুব নার্ভাস হয়ে পড়েছিলাম। তখন উল্টো মোসাদ্দেক এসে আমাকে শান্ত করল যে, বিশ্বাস রাখুন আমি পারব। বল আমার ভালো নিয়ন্ত্রণে আছে। আমি এবারও পারব। তখন আমার নার্ভাসনেস কেটে যায়। আসলে এটা দারুণ খেলা হয়েছে। শেষ বল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। এটা খেলা দেখতে আসা দর্শকদের জন্য বেশ উপভোগ্য ছিল।
১০-১৫ রান কম হয়ে গেছে মন্তব্য করে সাকিব বললেন, এ ম্যাচে ১৬৫ রান জয়ের জন্য আদর্শ ছিল। কিন্তু দেড়শ রান করতে পারি আমরা। যদিও যেভাবে শুরু করেছিল ব্যাটাররা, শেষ দিকে বাউন্ডারি না মারতে পারায় ১০-১৫ রান কম হয়েছে আমাদের। তবে আমাদের বোলারা বিষয়টি সামাল দিয়েছে। বিশেষ করে আমাদের পেসারার এখন বোলিংয়ের মূল শক্তি। তাসকিন, হাসান, মোস্তাফিজ দুর্দান্ত বল করেছে আজ। পেসাররা ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছে। এটাই গেম চেঞ্জার হিসেবে কাজ করেছে। আমরা জয় পেয়েছি।