২৮ আগস্ট আরব আমিরাতে শুরু হবে এশিয়া কাপ। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আয়োজিত এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলতে চায় বাংলাদেশ। এমনটিই বলেছেন জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন।
সোমবার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সুজন বলেন, আমাদের প্রথম দুটি ম্যাচ, আফগানিস্তান ও শ্রীলংকার সঙ্গে। ম্যাচগুলো আমরা জিততে চাই। শারজাহ ও দুবাইতে খেলা। উইকেট ও ওখানকার কন্ডিশন আমাদের জানা। ওখানে কী হবে আমরা জানি। ওসব মাথায় রেখেই আমরা পরিকল্পনা করছি।
সুজন আরও বলেন, এশিয়া কাপের দ্বিতীয় পর্বে যাওয়া নিয়ে অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন, যেহেতু আমরা এই ফরম্যাটে ভালো করছি না। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আমরা এটা পারব, সেখানে ভালো করতে পারব। আগেও বাংলাদেশ এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলেছে। ফরম্যাট ৫০ ওভার হোক বা টি-টোয়েন্টি, আমরা ফাইনাল অবশ্যই খেলতে চাই। চাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে, ভালো ক্রিকেট খেলতে।
তিনি আরও বলেন, জিম্বাবুয়ে যাওয়ার আগেই বলেছিলাম, ‘ফিয়ারলেস’ কথাটায় বারবার গুরুত্ব দিচ্ছি। সেখানে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে আমরা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলেছি। কিন্তু শেষ ম্যাচে পারিনি। যেভাবে চাই, সেভাবে খেলতে পারিনি। সাকিব ফিরেছে (নেতৃত্বে), এটা খুবই ইতিবাচক দিক। এই ফরম্যাটে সাকিব সবচেয়ে অভিজ্ঞ।
সাকিবের প্রশংসায় সুজন বলেন, সাকিব একটু আগ্রাসী অধিনায়ক। আমরা ওরকম ক্রিকেটই খেলতে চাই। আমি বলছি না যে বাংলাদেশ হুট করে বদলে গিয়ে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে। কিন্তু আমরা ওই পথটা ধরতে চাই, কীভাবে আমরা এই ফরম্যাটে ভালো করতে পারব।
সুজন আরও বলেন, ১২০ বলের খেলা, সময়টা খুব কম সিদ্ধান্ত নেওয়ার। গিয়েই আপনাকে মারতে হবে, রানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খেলতে হবে। এই আগ্রাসন, ওই ভয়ডরহীন ক্রিকেট, আমরা চাই যে ছেলেরা খেলুক। আমি বিশ্বাস করি আমরা এশিয়া কাপেও এভাবে চিন্তা করব। পরিকল্পনা সেভাবেই থাকবে।
এর আগে ২০১৬ এশিয়া কাপে টি-টোয়েন্টি সংস্করণেই অবশ্য ফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। সেবারও হারতে হয় ভারতের কাছে।