সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে চোটের কারণে বেশ কিছু ম্যাচে খেলা হয়নি তামিম ইকবালের। যে কারণে দল ঘোষণার আগেই স্বেচ্ছায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে সরে দাঁড়ান দেশসেরা এই ওপেনার।
সেই সময়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তামিম বলেছিলেন, আমি আসলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে থাকছি না। কারণ এই সংস্করণে শেষ ১৫-১৬টি ম্যাচ খেলিনি। আর আমার জায়গায় এত দিন যারা খেলেছে, এখন হঠাৎ করে আমি দলে এসে ওদের জায়গাটা নিয়ে নিলে কোনোভাবেই ঠিক হবে না।
বিশ্বকাপ শেষে তামিম জানান, টি-টোয়েন্টি থেকে ছয় মাস দূরে থাকতে চান। এদিকে অক্টোবর-নভেম্বরেই অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে আরও একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এরই মধ্যে দল গঠনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু ছয় মাস হতে চললেও সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ফেরা নিয়ে স্পষ্ট কিছুই জানাননি তামিম।
সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তামিম জানিয়েছিলেন, তাকে বলার সুযোগ দেওয়া হয় না। হয় সংবাদমাধ্যম বলে দেয়, না হয় অন্য কেউ।
তামিমের এমন মন্তব্যের পর বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও বোর্ড পরিচালকদের বিপরীত মন্তব্য করতে দেখা যায়। এতে দুইপক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে।
আর সেই ভুল ভাঙতেই মঙ্গলবার নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়ে সবকিছু খোলাসা করেন বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক।
তামিমের সেই স্ট্যাটাস হুবহু তুলে ধরা হলো— আমার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি কথার সূত্র ধরে অনেকে বিভ্রান্ত হচ্ছেন বা মিডিয়ায় কিছু বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে দেখতে পাচ্ছি। দুই দিন আগে একটি অনুষ্ঠানে আমি স্পষ্ট করে বলেছি, আমার ঘোষণা আমি দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছি না, অন্যরাই নানা কিছু বলে দিচ্ছে। এখানে বোর্ড কমিউনিকেট করেনি বা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি, এরকম কোনো কথা আমি একবারও বলিনি।
বোর্ড থেকে কয়েকবারই আমার সঙ্গে আলোচনা করেছে টি-টোয়েন্টি নিয়ে। আমি ৬ মাসের বিরতি নিয়েছি বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে। এরপরও বোর্ডের সঙ্গে কথা হয়েছে কয়েক দফায়। এটা নিয়ে কোনো প্রশ্ন আমি কখনই তুলিনি।
আমি সেদিন অনুষ্ঠানে যা বলেছি, আজকে আবার বলছি, “টি-টোয়েন্টি নিয়ে আমার যে প্ল্যান, সেটা তো আমাকে বলার সুযোগই দেওয়া হয় না। হয় আপনারা (মিডিয়া) বলে দেন, নয়তো অন্য কেউ বলে দেয়। তো এভাবেই চলতে থাকুক। আমাকে তো বলার সুযোগ দেওয়া হয় না। এতদিন ধরে আমি ক্রিকেট খেলি, এটা ডিজার্ভ করি যে আমি কী চিন্তা করি না করি, এটা আমার মুখ থেকে শোনা। কিন্তু হয় আপনারা কোনো ধারণা দিয়ে দেন, নয়তো অন্য কেউ এসে বলে দেয়। যখন বলেই দেয়, তখন আমার তো কিছু বলার নেই।”
এটুকুই বলেছিলাম। এখানে কি উল্লেখ আছে যে কেউ যোগাযোগ করেনি? এরকম কোনো শব্দ বা ইঙ্গিত আছে? খুবই সাধারণ ভাষায় বলেছি, আমার কথা আমাকে বলতে দেওয়া হচ্ছে না। ৬ মাসের বিরতি নিয়েছি, এর মধ্যেও মিডিয়া নানা কথা লিখে বা বলে যাচ্ছে, অন্যরাও কথা বলেই যাচ্ছেন।
বোর্ডের সঙ্গে আমার যোগাযোগ নিয়মিতই আছে এবং তারা খুব ভালোভাবেই জানে, টি-টোয়েন্টি নিয়ে আমার ভাবনা কোনটি। আমি স্রেফ নিজে সেই কথাটুকু বলতে চাই, সেই সময়টুকু চাই।
সময় হলে আমার সিদ্ধান্ত নিশ্চয়ই আমি জানাব। ৬ মাস হতে তো এখনো দেড় মাসের বেশি বাকি। কিন্তু সেই সময়টার অপেক্ষা কেউ করছে না। এটাই দুঃখজনক।