একটা সময় তামিম ইকবালের সঙ্গে জাতীয় দলে নিয়মিত ওপেনিং করতেন এনামুল হক বিজয়।
২০১৫ সালের বিশ্বকাপে বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোটাক্রান্ত হওয়ায় দল থেকেই বাদ পড়ে যান বিজয়। এরপর একাধিকবার জাতীয় দলে ফিরলেও থিতু হতে পারেননি।
ঢাকা লিগের এবারের আসরে প্রত্যাশার চেয়েও ভালো ক্রিকেট খেলেছেন এনামুল হক বিজয়। লিগের ইতিহাসে রেকর্ড সর্বোচ্চ রান করেছেন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের এই তারকা ওপেনার।
বৃহস্পতিবার লিগের শেষ ম্যাচে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে জাতীয় দলের ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতেই ২১৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন বিজয়। ৮৫ বলে ৮ বাউন্ডারি আর তিন ছক্কায় ৯৬ রান করে ফেরেন তিনি। মাত্র ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন।
ঢাকা লিগে বিজয়ের নান্দনিক পারফরম্যান্স দেখে মুগ্ধ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেন, দেখেন পুরো একটা লিগ থেকে আপনি ১০-১২ জনকে আনতে পারেন। তবে জাতীয় দলকে ফোকাস করলে এক বা দুইজনকে টার্গেট করতে হয়। সেটা যদি করেন, আমি মনে করি বিজয়। আগের দিনও বলেছি, আজকেও বলছি সে অসাধারণ ব্যাটিং করেছে, দাপট দেখিয়ে ব্যাটিং করেছে। বিজয়কে আমি মনে করি এখনই বিবেচনা করার সময়।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের এক আসরে ১৫ ম্যাচে তিন সেঞ্চুরি আর ৯টি ফিফটির সাহায্যে ৮১.২৮ গড়ে ১ হাজার ১৩৮ রান করেছেন বিজয়। এর আগে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এক আসরে সর্বোচ্চ ৮১৪ রান করেছিলেন সাইফ হাসান। তার রেকর্ড ভেঙে ইতিহাস গড়েন বিজয়।
বিজয়ের এমন অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স নিয়ে মাশরাফি বলেন, একজন মানুষ যদি ১১শ রান করেও সুযোগ না পায়, তাহলে তার আর প্রমাণ করার জায়গা থাকে না। তাই এ সুযোগটা পাওয়া উচিত। ক্রিকেটে একটা বিষয় আছে বয়স। এখন বিজয় যে বয়সে আছে, ক্রিকেটে ২৮ থেকে ৩২-৩৪ এর একটা প্যাঁচ থাকে, এখন কিন্তু ও ওই বয়সে রয়েছে। তাই এখানে শুধু অভিজ্ঞতা বা সিনিয়র খেলোয়াড়দের কথা চিন্তা না করে যদি বিজয়কে জাতীয় দলে কিছু ম্যাচে সুযোগ দেওয়া যায়, আমার মনে হয় ও ভালো করবে।