ছবি: সংগৃহীত
লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে শুধু ভারতই নয়,তার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। সুরসাম্রাজ্ঞীর প্রয়াণে শোকে বিহ্বল পাকিস্তানের সাবেক স্পিডস্টার শোয়েব আখতার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রয়াত কিংবদন্তি শিল্পীর সঙ্গে টেলিফোনে তার কথোপকথনের স্মৃতিচারণ করেছেন শোয়েব আখতার।
তিনি বলেন, লতা মঙ্গেশকরের ক্রিকেট খেলা খুব প্রিয় ছিল। দেখা হয়নি তার সঙ্গে। এটা আমার জীবনের বড় আফসোস।’
কোকিলকণ্ঠী শোয়েবকে দুটি উপদেশও দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, জীবনে দুটি বিষয় কখনও না ভুলতে। এক নম্বর নিজের নম্র ব্যবহার এবং দ্বিতীয় জিনিস মানুষের পাশে থাকা, তাকে সাহায্য করা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৬ সালে লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে টেলিফোনে তার কথোপকথন হয়েছিল। ওই বছর শোয়েব যখন শেষবার ভারতে ধারাভাষ্যকার হিসেবে এসেছিলেন, তখন একদিন প্রোডাকশনের একজনের সাহায্য নিয়ে বহু দিনের ইচ্ছে পূর্ণ করেছিলেন তিনি।
ফোনে কথা বলেছিলেন লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে। সেই স্মৃতিতেই ডুব দিলেন শোয়েব। রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন সুর সম্রাজ্ঞীর ব্যবহারে। কথোপকথনের শুরুতেই লতা তাকে মা বলে ডাকতে বলেছিলেন।
আবেগাপ্লুত হয়ে শোয়েব তার ইউটিউব চ্যানেলে বলছেন, ‘আমাকে তিনি মা বলে ডাকতে বলেছিলেন। তার সুন্দর ব্যবহারে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। আমি তার সঙ্গে সামনে গিয়ে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলাম। সেই সময়ে নবরাত্রি চলছিল। উনি আমাকে দুদিন পর তাই ওর সঙ্গে দেখা করতে যেতে বলেছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানে ফেরার টিকিট থাকায় আমাকে ফিরতে হয়েছিল। তবে বলেছিলাম পরেরবার আসলে নিশ্চয়ই দেখা করব। কিন্তু আফসোস আর দেখা হয়নি। ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় আর ভারতে যাওয়া হয়নি আমার। দেখা হয়নি তার সঙ্গে। এটা আমার জীবনের বড় আফসোস।’
শোয়েবের সঙ্গে কথা বলার সময়ে লতা তাকে জানিয়েছিলেন, নুরজাহান, মেহেদী হাসান, গোলাম আলির সঙ্গে তিনি প্রচুর কাজ করেছেন। তারা প্রত্যেকে তাকে ভালোবাসতেন। নুরজাহানকে নিজের বড় দিদি মনে করতেন লতা।