আর্থিক দৈন্যদশায় পড়ে দলের সেরা তারকাকে হারিয়েছে ক্লাব বার্সেলোনা।
মেসিকে ধরে রাখার সব ধরনের চেষ্টা তারা করেছেন। কিন্তু লিগ কর্তৃপক্ষের বেতন কাঠামোর নিয়মের বেড়াজালে আটকে সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে বার্সেলোনা।
এ বিবৃতি দেওয়ার পর থেকেই গুঞ্জন ফ্রান্সের জায়ান্ট দল প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) ক্লাবে যোগদান করতে চলেছেন মেসি।
সোমবার প্যারিসে হতে পারে মেসির স্বাস্থ্য পরীক্ষা। শিগগিরই নেইমার-ডি মারিয়াদের সতীর্থ হচ্ছেন মেসি।
আর এমন খবরে চটেছে বার্সেলোন। মেসির পিএসজিতে যাওয়া ঠেকাতে রীতিমতো আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বার্সা। স্প্যানিশ দৈনিক মার্কা এমন তথ্য দিয়েই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
নিজেরা মেসিকে ধরে রাখতে না পারলে দলবদলে ইস্যুতে এমন করছে কেন বার্সা?
ক্লাবটির দাবি, পিএসজির অর্থনৈতিক অবস্থা বার্সার চেয়ে ভালো নয়। তারা কীভাবে মেসিকে দলে ভেড়াবে, প্রশ্ন কাতালুনিয়ান ক্লাবটির।
আদালতে বার্সার অভিযোগ, অর্থনৈতিক অবকাঠামোর দোহাই দিয়ে মেসিকে ছাড়তে হয়েছে তাদের। পিএসজির অবস্থা নাকি আরও খারাপ।
বার্সেনোলার পক্ষে আইনজীবী ডক্টর হুয়ান ব্রানকোর ইউরোপিয়ান আদালতে করা অভিযোগে বলা হয়েছে, বার্সেলোনার তুলনায় পিএসজির ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লের অবস্থা আরও খারাপ। ২০১৯-২০ মৌসুমে তারা তাদের আয়ের ৯৯ ভাগই খেলোয়াড়দের বেতনের পেছনে খরচ করেছে। সেখানে বার্সেলোনা খরচ করেছে ৫৪ শতাংশ।
ব্রানকোর প্রশ্ন এটাই, ৫৪ শতাংশ অনুপাত নিয়েও বার্সেলোনা যেখানে মেসিকে ধরে রাখতে পারছে না, পিএসজি কী করে পারে সেই মেসিকে আকাশচুম্বী বেতন দিয়ে দলে নিতে?
মার্কার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন মৌসুমে খেলোয়াড়দের পেছনে পিএসজির অনেক অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। পিএসজিকে দিতে হবে সার্জিও রামোস, জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা, কিলিয়ান এমবাপ্পে ও নেইমারদের বেতন। এর পেছনেই একটা বড় অংশ ব্যয় হবে ক্লাবের সভাপতি নাসের আল খেলাইফির। সেখানে মেসি গেলে সেই পরিমাণটা আরও বহুগুণে বাড়বে।