নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন যখন ক্রিজে আসেন, তখনও জয় থেকে ৬৮ রান দূরে ছিল বাংলাদেশ। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ৬৯ রানের অবিচ্ছিন্ন এবং দায়িত্বশীল জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছেদেন সাইফউদ্দিন।
রোববার জিম্বাবুয়ের হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সাকিব নৈপূণ্যে ৩ উইকেটের জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
খেলা শেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় সাকিব আল হাসান বলেন, সাইফুদ্দিনকে বলছিলাম, আমরা ব্যাটসম্যানরা যদি ৪৫ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করতে পারি, তাহলে দেখতে পারব আমরা কোথায় আছি। তখন ১৫-২০ বা ৩০ রান দুই-তিন ওভারেও করা সম্ভব। সব সময় লক্ষ্য ছিল খেলা যতটা ক্লোজ করতে পারি। কখনই চিন্তা করিনি যে, ৬০-৭০ রান লাগে সেটা তাড়াতাড়ি তাড়া করতে হবে।
উইকেট নিয়ে সাকিব বলেন, উইকেট আজ একটু ভিন্নরকম ছিল, বল ওইভাবে ব্যাটে আসছিল না। রান করার জন্য শট খেলতে হতো। ব্যাটসম্যান হিসেবে মানিয়ে নিতে হয়েছে। আমি খুশি যে, মানিয়ে নিতে পেরেছি। নিয়মিত যেহেতু উইকেট পড়ছিল, আমি খুব বেশি কিছু করতেও পারতাম না। কৃতিত্ব দিতে হয় সাইফ উদ্দিনকে, ও যেভাবে খেলাটা শেষ করতে পেরেছে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৪১ রানের টার্গেট তাড়ায় ৩৮.৩ ওভারে ১৭৩ রানে তামিম, লিটন, মিঠুন, মোসাদ্দেক, মাহমুদউল্লাহ, মিরাজ, আফিফ আউট হলে পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনের সঙ্গে জুটি গড়েন সাকিব। অষ্টম উইকেটে তাদের এই জুটিতেই জয়ের দুয়ারে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
দলের জয়ে ১০৯ বলে ৮টি চারের সাহায্যে অপরাজিত ৯৬ রান করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ৩৪ বলে অপরাজিত ২৮ রান করেন সাইফউদ্দিন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জিম্বাবুয়ে: ৫০ ওভারে ২৪০/৯ (মাধেভেরে ৫৬, টেইলর ৪৬, মাইয়ার্স ৩৪, সিকান্দার রাজা ৩০; শরিফুল ৪/৩৪, সাকিব ২/৪২)।
বাংলাদেশ: ৪৯.১ ওভারে ২৪২/৭ (সাকিব ৯৬*, সাইফউদ্দিন ২৮*, মাহমুদউল্লাহ ২৬, লিটন ২১, তামিম ২০)।
ফল: বাংলাদেশ ৩ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: সাকিব আল হাসান