করোনায় চেন্নাইয়ের ১৩ সদস্য আক্রান্তে ধোনি দায়ী!
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২০, ০৪:১০ পিএম
মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) দল চেন্নাই সুপার কিংসের অধিকাংশ ক্রিকেটার।
দলটির একজন পেসারসহ ১৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
এর ফলে দুবাইয়ে ১ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাওয়া চেন্নাইয়ের অনুশীলন স্থগিত করা হয়েছে। করোনা পজিটিভ হওয়া সবাইকে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ আবারও কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
এতো সতর্কতার পরও কী করে দলে এভাবে করোনার হানা দিল সে কারণ খোঁজা হচ্ছে এখন।
আর সেই তদন্তেই বিপাকে পড়েছেন দলটির অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। দলের ১৩ সদস্য করোনা আক্রান্তের ঘটনায় ধোনিকেই দুষছেন অনেকে।
তদন্তে জানা গেছে, আইপিএলে অংশ নেয়ার উদ্দেশ্যে আমিরাতে যাওয়ার আগে ১৬ আগস্ট চেন্নাইয়ের চিপাকে পাঁচদিনের একটি অনুশীলন ক্যাম্পের আয়োজন করেছিল চেন্নাই ফ্র্যাঞ্চাইজি। এ ক্যাম্পে ধোনি ছাড়াও সুরেশ রায়না, দীপক চাহার, শার্দুল ঠাকুর, আম্বাতি রাইডু, মুরালি বিজয় এবং বোলিং লক্ষ্মীপতি বালাজি অংশ নিয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, সেই ক্যাম্প থেকেই করোনা ছড়িয়ে পড়ে চেন্নাই শিবিরে। আর ধোনির আগ্রহ ও ইচ্ছাতেই সেই ক্যাম্প আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলের দলটির কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে চেন্নাইয়ের প্রধান নির্বাহী কাশি বিশ্বনাথ বলেছেন, ‘যখন টুর্নামেন্টের সূচি প্রকাশিত হয়, ধোনিকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, দুবাই যাওয়ার পাঁচদন আগে ক্যাম্প আয়োজন করা আদৌ দরকার আছে কি না অথবা এটি কার্যকরী হবে কি না। তখন ধোনি বলেছিলেন, খেলোয়াড়রা ৪-৫ মাস ধরে ঘরবন্দি থাকায় তাদের শরীরে মর্চে পড়েছে। তাই চেন্নাইয়ে আগে দলের সবার এক হওয়া দরকার। সেখানে বায়ো সিকিউর বাবলে থেকে একটা ক্যাম্পিংয়ের বিশেষ প্রয়োজন। বিষয়টি দুবাইয়ে বেশ ভালো কাজে দেবে খেলোয়াড়দের। ’
আর ধোনির এমস যুক্তির পরই করোনায় বিস্ফোরিত অঞ্চল চেন্নাইয়ে ক্যাম্প করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় চেন্নাই সুপার কিংস।
এদিকে চিপাকে খেলোয়াড়দের ক্যাম্প করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিস্মিত অনেকেই। কারণ এলাকাটি স্টেডিয়ামের খুব কাছেই চেন্নাইয়ের ত্রিপলিক্যান এলাকা। এলাকাটি চেন্নাইয়ের করোনা হটস্পট হিসেবে পরিচিত।
এমন করোনা বিস্ফোরিত স্থানে ধোনি কী করে ক্যাম্প করার সিদ্ধান্ত নেন, সে প্রশ্নে অবাক হয়েছেন ভারতের বিশ্লেষকরা।
এখনও পর্যন্ত চেন্নাইয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় পৌনে ২ লাখ, এ মহামারিতে প্রাণ হারিয়েছেন ২৬০০ এর বেশি মানুষ।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস