চমক দেখিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে উঠল ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)।
পর্তুগালের লিসবনে এক লেগের কোয়ার্টার ফাইনালে ২-১ গোলে আটালান্টাকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল পিএসজি।
অথচ খেলার শেষ মিনিট আগেও সমর্থকরা ধরেই নিয়েছিল সেমির টিকিট কাটতে যাচ্ছে আটালান্টা।
কিন্তু আটালান্টার সেই স্বপ্ন নিমিষেই গুঁড়িয়ে দেন মার্কিনিয়োস।
নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে গোল করে পিএসজিকে সমতায় ফেরান তিনি।
খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। আর সেই সময়ে পিএসজির ভাগ্য খুলে দেন এরিক মাক্সিম চুপো-মোটিং।
এরিক মাক্সিমের গোলে ১৯৯৫ সালের পর দ্বিতীয়বারের মতো লিগের সেমিতে উঠলেন ফরাসিরা।
বুধবার রাতে ২৬তম মিনিটে আটালান্টার মিডফিল্ডার মারিও পাসালিচ লিড এনে দেন।
এর দুই মিনিট পর ২০ গজ দূর থেকে জোরালো শট নেন পিএসজি তারকা নেইমার। অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় তার শট।
প্রথমার্ধে সমতায় ফিরতে পারেননি ফরাসিরা।
১-০ তে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় দুদল। দ্বিতীয়ার্ধে নেমে গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে ওঠে পিএসজি। বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করেন নেইমাররা।
বদলি হিসেবে নামা এমবাপ্পে ৭৩তম মিনিটে একটি প্রচেষ্টা গোলরক্ষকের পায়ে লেগে ভেস্তে যায়। ৮০তম মিনিটে শট নিতে দেরি করে আরেকটি সুবর্ণ সুযোগ হারান তিনি।
১-০ তেই খেলা শেষ হতে যাচ্ছিল। পিএসজি সমর্থকরা হয়তো ম্যাচ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিলেন। শেষ চারে ওঠার স্বপ্ন দেখছিলেন আটালান্টার সমর্থকরা।
কিন্তু শেষ মুহূর্তে সব সমীকরণ পাল্টে দেন মার্কিনিয়োস। ৯০তম মিনিটে চুপো-মোটিংয়ের ক্রস থেকে ডি-বক্সে বল পেয়ে যান তিনি। এর পর বল জালে পাঠাতে কোনো ভুল হয়নি ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের।
প্রাণ ফিরে পান পিএসজি সমর্থকরা। আর অতিরিক্ত সময়ের শেষ তিন মিনিটের ভেলকিতে স্বপ্ন ভঙ্গ হয় আটালান্টার।
তৃতীয় মিনিটে গোল করে ইতিহাস নিজের করে নেন চুপো-মোটিং।
তথ্যসূত্র: গোল ডট কম