জাতীয় দলের ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজের কাফরুলের বাসার চুরির ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন এখনও অধরা। চোরের জুতার ছাপ দেখে চোর শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানান কাফরুল থানার ওসি সেলিমুজ্জামান।
গ্রেফতার হওয়া যুবকের নাম সোহেল রানা। ওই চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা আদালতেও স্বীকার করেছেন সোহেল। আর পলাতক আছেন জামাল নামের আরেকজন, যাকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
কাফরুল থানার ওসি সেলিমুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থলে জুতার ছাপ থেকে সোহেলকে শনাক্ত করা হয়েছে। আসামি সোহেল বৃহস্পতিবার ঢাকার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মিরাজ পরিবার নিয়ে কাফরুলে ১০ তলা ভবনের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন। খেলার জন্য গত ২০-২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি বাসায় ছিলেন না। বাসায় তখন কেউ ছিল না। এই সময়ের মধ্যে মিরাজের বাসায় চুরি হয়। বাসার কাঠের আলমারির ড্রয়ার ভেঙে ২৫ ভরি সোনা, তিনটি ডায়মন্ডের আংটি ও ছয় হাজার মার্কিন ডলার চুরি হয়। এ ঘটনায় মিরাজ বাদী হয়ে রাজধানীর কাফরুল থানা এলাকায় অজ্ঞাত চোরের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাফরুল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক জানান, মিরাজের বাসার সামনে আরেকটি ফ্ল্যাট রয়েছে। সেই ফ্ল্যাটে কেউ বসবাস করেন না। সরেজমিন জানতে পারেন, জরুরি সিঁড়ি ব্যবহার করে চোর মিরাজের বাসায় ঢুকেছিল। মিরাজের বাসায় একটি জুতার ছাপ ছিল। জরুরি সিঁড়িতেও একই ছাপ দেখতে পান। তখন নিশ্চিত হন, চোর বাইরের কেউ নয়। এই ভবনের কেউ এই চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
পুলিশ কর্মকর্তা এমদাদুল হক বলেন, চুরির মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে দেখতে পান, যে জুতা পরে মিরাজের বাসায় ঢুকেছিল, সেটি ছিল বার্মিজ। দুদিন ভবনের নিচে অবস্থান করেন তিনি। তখন বার্মিজ জুতা পরা সোহেলকে ভবনের নিচে দেখতে পান। পরে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যান। জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল স্বীকার করেন, তিনি মিরাজের বাসায় চুরির সঙ্গে জড়িত। তার দেয়া তথ্যমতে, মিরাজের বাসায় চুরি যাওয়া সোনা, ডায়মন্ড উদ্ধার করা হয়।