দুর্দান্ত খেলছেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। ব্যাটকে তলোয়ার বানিয়ে জিম্বাবুয়ে বোলারদের কচুকাটা করছেন তারা। ইতিমধ্যে ওপেনিং জুটিতে রানের রেকর্ড গড়েছেন তামিম-লিটন। ৩৩.২ ওভারে উদ্বোধনী জুটিতে ১৮২ রান তুলেছেন তারা। এরই মধ্যে ক্যারিয়ারে তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন লিটন। তিনি ১০২ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় আছেন তামিম। তিনি ৭৯ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন। স্বভাবতই আরেকটি সেঞ্চুরির অপেক্ষায় ড্যাশিং ওপেনার।
তামিম-লিটন খেলতে পারলে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড গড়তে পারবেন। সর্বোচ্চ দলীয় স্কোরও গড়তে পারবেন। তবে সেসব পথে বাগড়া দিল বেরসিক বৃষ্টি। এর হানায় খেলা বন্ধ হয়ে গেছে।
শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে। টাইগারদের অধিনায়ক হিসেবে এটি মাশরাফি বিন মুর্তজার শেষ ম্যাচ। সেই গেমে টসভাগ্যে হেরে যান তিনি। তাতে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শন উইলিয়ামস। শিশিরের কথা ভেবে এ সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
আগের দুই ম্যাচে টস জেতে বাংলাদেশ। দুবারই প্রথমে ব্যাট করে জয় তুলে নেয় তারা। এবার হেরেও ব্যাট পান স্বাগতিকরা। ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। শুরু থেকেই স্বচ্ছন্দে খেলেন তামিম। তবে সাবধানী শুরু করেন লিটন। অবশ্য সময় গড়ানোর সঙ্গে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। পরে খেলেন হাত খুলে। পথিমধ্যে ফিফটি তুলে নেন উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। ছন্দময় ব্যাটিং করেন তামিম। ব্যাটে ছোটান স্ট্রোকের ফুলঝুরি। খানিক পর ফিফটি তুলে নেন তিনিও।
এরপর আরো আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন তামিম-লিটন। তবে বেশি আগ্রাসী ছিলেন লিটন। ব্যাটে ছোটান রানের ফোয়ারা। তাতে দ্রুতগতিতে সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যান তিনি। অপর প্রান্তে তামিমের কাছ থেকে পান যথার্থ সমর্থন। স্ট্রাইক পেলে চার-ছক্কার ফুলঝরি ছোটান ড্যাশিং ওপেনারও। ফলে হু হু করে বাড়ে দলীয় রান। এরই মাঝে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন।
এ পথে ১৭১ রান তুলে বাংলাদেশের হয়ে তামিমের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েন তিনি। তারা ছাড়িয়ে যান শাহরিয়ার হোসেন ও মেহরাব হোসেনের ১৭০ রানের পার্টনারশিপকে। ১৯৯৯ সালে এ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ঘরের মাঠে এ রান করেন তারা। এতদিন উদ্বোধনী জুটিতে সেটিই ছিল টাইগারদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ। এ ম্যাচে জিতলে দেশের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে ৫০ ওয়ানডে জয়ের কীর্তি গড়বেন মাশরাফি। অধিনায়কের বিদায়ী ম্যাচে একাদশে আসে ৪ পরিবর্তন। বাদ পড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। স্থলাভিষিক্ত হন নাঈম শেখ ও আফিফ হোসেন। এ নিয়ে দুজনের অভিষেক ঘটে।
এছাড়া একাদশে ফেরেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। বাজে ফর্মের কারণে বাদ পড়েন শফিউল ইসলাম ও আল-আমিন হোসেন। তবে অপরিবর্তিত থাকে জিম্বাবুয়ে একাদশ। টসের সময় মাশরাফিকে অভিনন্দন জানান উইলিয়ামস।