জাতীয় দলের পেসার আল আমিন। ফাইল ফটো
চার বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বাইরে ছিলেন পেসার আল আমিন। ২০১৫ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলার পর লম্বা সময় ধরে তাকে দেখা যায়নি।
এর পর গত বছর নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে ফিরলেও ৫০ ওভারের ম্যাচে খেলার সুযোগ হয়নি।
সুদীর্ঘ সময় পেরিয়ে এবার সাদা বল হাতে নেয়ার সুযোগ পেয়েছেন এই ডান হাতি পেসার।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের স্কোয়াডে রাখা না হলেও ওয়ানডে একাদশে ঠাঁই পেয়েছেন আল আমিন। আর এ সুযোগটি হাতছাড়া করতে চান না আল আমিন।
তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালের পর চার বছর ধরে ওয়ানডে দলে না থাকায় অনেক কিছুই হারিয়েছি। ক্রিকেটের এই সংস্করণে বলার মতো কিছু নেই আমার। ক্যারিয়ার টানা চলতে থাকলে এতদিনে দলে যথেষ্ট প্রতিষ্ঠিত থাকতাম।’
তিনি বলেন, ‘এখন সুযোগ এসেছে। এটি আমাকে ব্যবহার করতেই হবে। আর তা হবে মাঠে ভালো পারফরম্যান্স দিয়েই।’
এ বিষয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখা গেল আল আমিনকে। এর কারণও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফিরে দুটিতেই মোটামুটি ভালো করেছি। এবার ওয়ানডের পালা। একাদশে জায়গা পেলে এই ফরম্যাটেও ভালো করব ইনশাআল্লাহ। প্রত্যাবর্তনের সিরিজে খেলার সুযোগ পেলে জায়গা ধরে রাখার মতো পারফরম্যান্স করতে চাই।’
জানা গেছে, কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর সুনজরে পড়ার কারণেই ওয়ানডেতে ফেরা হয়েছে আল আমিনের। ডমিঙ্গো চান আল আমিনকে সাদা বলে খেলাতে। এখানে তার ভালো সম্ভাবনা দেখছেন তিনি।
তবে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ভালো করছেন জানিয়ে আরও বেশি কিছু করার ইঙ্গিত দিলেন আল আমিন।
তিনি চান তিন সংস্করণেই দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে।
তিনি বলেন, ‘সব বলেই খেলতে চাই আমি। টেস্টে নিয়মিত সুযোগ না পেলেও হাল ছাড়ব না। এ জন্য আমাকে সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে। আমি সাদা বল বা লাল বল আলাদা করে ভাবি না। যখন যেই সুযোগ আসবে, তখনই দলকে সেরাটা ঢেলে দিতে চাই। ’
আল আমিন যোগ করেন, ‘টেস্টে এখন আমাকে বিবেচনা করা হচ্ছে না। হয়তো এমন সুযোগ আসতে পারে যে কারও ইনজুরি বা সংকটের সময় আমার ডাক পড়তে পারে। সে কথা মাথায় রেখেই সবসময় নিজেকে ফিট রাখব।’