Logo
Logo
×

খেলা

শাদাবের ব্যাটে মাঝারি সংগ্রহ ঢাকার

Icon

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২০, ০৪:২৬ এএম

শাদাবের  ব্যাটে মাঝারি সংগ্রহ ঢাকার

শুরুটা হয়েছিল যাচ্ছেতাই। যদিও ক্রিজ আঁকড়ে ছিলেন মুমিনুল হক। মাঝপথেও কেউ হাল ধরতে পারেননি। তবে শেষদিকে আপ্রাণ চেষ্টা করলেন শাদাব খান ও থিসারা পেরেরা। তাতে মাঝারি স্কোর পেল ঢাকা প্লাটুন। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ১৪৫ রানের টার্গেট দিয়েছে তারা।   

সোমবার বঙ্গবন্ধু বিপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে ঢাকার মুখোমুখি হয় চট্টগ্রাম। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান চট্টগ্রাম অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

হাতে ১৪টি সেলাই নিয়ে টস করতে নামেন ঢাকা কাপ্টেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে তাদের ব্যাটিংয়ে সেই অনুপ্রেরণা খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুরুতেই ক্রিজ ছেড়ে তেড়েফুঁড়ে খেলতে গিয়ে রুবেল হোসেনের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে ফেরেন তামিম ইকবাল। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগে নাসুম আহমেদের শিকার হয়ে দ্রুত ফেরেন আনামুল হক। পরক্ষণেই মাহমুদউল্লাহর বলির পাঁঠা হন লুইস রিসে।

দলীয় ২৮ রানে টপঅর্ডারের ৩ ব্যাটসম্যান হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে ঢাকা। সেখানে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি মিডলঅর্ডাররা। নিয়মিত বিরতিতে যাওয়া-আসা করেন তারা। তাদের বিষাক্ত ছোবল মারেন রায়াদ এমরিত। একে একে মেহেদী হাসান, জাকের আলি ও মুমিনুল হককে ফিরিয়ে দেন তিনি। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন এ ক্যারিবিয়ান। যদিও তা শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।

ঢাকার প্রথম ৬ ব্যাটসম্যানের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন মুমিনুল। সমান ৩১ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি। খানিক দম নিয়ে নাসুমের কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন আসিফ আলি। এতে মাত্র ৬০ রানে ৭ উইকেট খুইয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় ঢাকা।

এ অবস্থায় থিসারা পেরেরাকে নিয়ে খেলা ধরার চেষ্টা করেন শাদাব খান। ধীরে ধীরে এগিয়ে যান তারা। একপর্যায়ে জমে ওঠে তাদের জুটি। ক্রিজে সেট হয়ে যান শাদাব-পেরেরা। স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছোটাতে শুরু করেন দুজনই। তাতে সম্মানজনক স্কোরের পথে হাঁটে দলটি। কিন্তু হঠাৎ রুবেলের বলে পথচ্যুত হন পেরেরা। ১৩ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৫ রানের ঝড়ো ক্যামিও খেলে ফেরত আসেন তিনি।

তবে একপ্রান্ত আগলে থেকে যান শাদাব। ধ্বংস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে নিজের ব্যাটিং কারিশমা দেখান তিনি।শেষদিকে চট্টগ্রাম বোলারদের ওপর স্টিম রোলার চালান এ স্পিন অলরাউন্ডার। রান না পেলেও উইকেট সামলে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন মাশরাফি। তাতে মাঝারি সংগ্রহ পায় ঢাকা।

পথিমধ্যে ফিফটি তুলে নেন শাদাব। ৪১ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৪ রানের হার না মানা ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। মূলত তার ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৪ রানের পুঁজি পায় তারা। চট্টগ্রামের হয়ে এমরিত নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন রুবেল ও নাসুম।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম