শুরু থেকে চেষ্টা করে গেলেন নাঈম শেখ। ছোটালেন স্ট্রোকের ফুলঝুরি। তবে যোগ্য সঙ্গী পেলেন কাউকে। ফলে প্রত্যাশিত স্কোরও গড়ে পারল না রংপুর রেঞ্জার্স। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৭ রান করতে সক্ষম হলো তারা।
শনিবার দুপুরে হোম অব ক্রিকেট মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ভারত সফরে ঐতিহাসিক ইডেন টেস্টে ইনজুরিতে পড়েন তিনি। ফলে বিপিএলে দলের প্রথম ২ ম্যাচে খেলতে পারেননি মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। একাদশে ফিরেই টস জেতেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
ব্যাট করতে নেমে সতর্ক শুরু করে রংপুর। তবে একটু আগ্রাসী হতেই কেসরিক উইলিয়ামসের শিকার হয়ে ফেরেন মোহাম্মদ শাহজাদ। পরে টম অ্যাবলকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন নাঈম শেখ। ক্রিজে পোক্ত হয়ে যাচ্ছিলেন তারা। কিন্তু হঠাৎ পথচ্যুত হন অ্যাবল। রায়ান বার্লের বলে নাসির হোসেনকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি।
এরপর জহুরুল ইসলামকে নিয়ে খেলা ধরার চেষ্টা করেন নাঈম। তবে তাকে যথার্থ সঙ্গ দিতে পারেননি জহুরুল। মাহমুদউল্লাহর বলে অযাচিত শট খেলতে গিয়ে ফেরেন তিনি। তার পর মোহাম্মদ নবীকে নিয়ে এগিয়ে যান নাঈম। জমে গিয়েছিল তাদের জুটি। তাতে ছুটছিল রংপুর। কিন্তু অতি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে উইলিয়ামসকে উইকেট দিয়ে সাজঘরে ফেরত আসেন তিনি। ফেরার আগে ১২ বলে ১টি করে চার-ছক্কায় ২১ রানের ক্যামিও খেলেন অধিনায়ক।
নিয়মিত বিরতিতে একে একে রংপুরের টপঅর্ডাররা ফিরলেও থেকে যান নাঈম। চট্টগ্রাম বোলারদের ওপর রীতিমতো তাণ্ডব চালান তিনি। তাতে বড় স্কোরের পথে এগিয়ে যায় দল। তবে ১৮তম ওভারের শেষ বলে রুবেল হোসেনকে চিকি শট খেলতে গিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বাঁহাতি ওপেনার। ফেরার আগে ৫৪ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৮ রান করেন তিনি।
এ অবস্থা থেকে ১৭০ প্লাস রান করা সম্ভব ছিল রংপুরের। তবে নাঈম ফিরলে প্রত্যাশানুযায়ী স্কোর গড়ার স্বপ্নও শেষ হয়ে যায় রংপুরের। শেষদিকে কেউ ঝড় তুলতে পারেননি। খানিক বাদে নাদিফ চৌধুরী ও রিশাদ হোসেন রানআউটে কাটা পড়েন।